ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনামসজিদ বন্দরে ছয় কোটি টাকার উন্নয়নকাজ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সোনামসজিদ বন্দরে ছয় কোটি টাকার উন্নয়নকাজ শুরু

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিনের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার জন্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। বন্দরে গতিশীলতা ফিরে আসবে এই উন্নয়নে। ব্যবসায়ীদের নানানমুখী সুবিধা অনেকটাই নিশ্চিত করতে পারবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষ হলে। ইতোমধ্যেই বন্দরের পানামা কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯টি অবকাঠামো নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে রাত-দিন তত্ত্বাবধান করছে। সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জিএম বেলাল উদ্দীন জনকণ্ঠকে জানান, বন্দর ইয়ার্ডের পুরনো রাস্তা সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় পণ্যবাহী বা খালি ট্রাক চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। এছাড়া গোডাউন সঙ্কুলান বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছিল, যার কারণে ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিরেন। এসব সমস্যা হতে মুক্তি পেতে উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত ১নং স্কেল থেকে পকেট গেট পর্যন্ত ৭ হাজার ৫শ’ বর্গফুট এরিয়ার ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই রাস্তা, একই স্কেল থেকে ২নং স্কেল পর্যন্ত ২১ হাজার ২শ’ বর্গফুট এরিয়ার ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই রাস্তা, একই ধরনের আরও দুটি রাস্তা আরসিসি ঢালাই করা হচ্ছে। এছাড়াও ৪ ও ৫ ব্লকে ৫৭ হাজার ৪২২ বর্গফুট এরিয়ায় ডবল লেয়ার ব্রিক ফ্লাট সলিংসহ এইচবিবি ইয়ার্ড, ৪নং গেটের কাছে ১৬ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট একটি স্টিল স্ট্রাকচার গোডাউন, ৩নং গেটের কাছে ১০ হাজার বর্গফুটের স্টিল স্ট্রাকচার ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বি ব্লকে ৬২ হাজার ৯শ’ বর্গফুট এরিয়ার ডবল লেয়ার ব্রিক ফ্লাট সলিংসহ এইচবিবি ইয়ার্ড, ডি ব্লকে ১৬ হাজার বর্গফুটের অপর একটি গোডাউন নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলে আমদানি-রফতানিসহ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে প্রচ-ভাবে গতি পাবে। এছাড়াও যেসব ফল আমদানিকারক এসব সুযোগ-সুবিধার অভাবে বিকল্প বন্দরে চলে গিয়েছিলেন তারা ফিরতে শুরু করেছেন। বিহারের পাকুড় থেকে পদ্মা সেতুর জন্য পাথর আমাদানি বেড়েছে। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে সোনামসজিদ এলসি স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তর করার পর যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল তার পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। এর সংস্কারে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
×