ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্লীলতাহানিতে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীর শরীর ব্লেডে ক্ষতবিক্ষত করল সাবেক সেনা সদস্য

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শ্লীলতাহানিতে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীর শরীর ব্লেডে ক্ষতবিক্ষত করল সাবেক সেনা সদস্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৯ সেপ্টেম্বর ॥ সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ব্লেড দিয়ে সারা শরীর কেটে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে মমিন (৪৫) নামে সাবেক এক সেনা সদস্য। শুক্রবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সেনা সদস্য মমিনের বাড়িতে স্কুল ছাত্রীটির মা কাজ করতেন আর বাবা ঢাকায় রিক্সা চালাতেন। বর্তমানে মা ব্র্যাকের সহায়তায় একটি মুদি দোকান দিয়েছেন। বাবা মৌসুমী ব্যবসায়ী। পরিবারটির দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে ওই সেনা সদস্য প্রায়ই স্কুলছাত্রী মেয়ে ও মাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এই ঘটনায় কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও সাবেক সেনা সদস্য মমিনকে গ্রামবাসী নিবৃত্ত করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত লালমনিরহাটের জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয় সাবেক সেনাসদস্য মমিনের বিরুদ্ধে। মমিনও পাল্টা ডাকাতির মামলা দায়ের করে দরিদ্র পরিবারটির বিরুদ্ধে। জজ আদালত চেয়ারম্যানকে দিয়ে ডাকাতির মামলা তদন্ত করে। হারাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সরজমিনে তদন্ত করে ডাকাতির ঘটনাটি মিথ্যা বলে জজ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। আগামীকাল সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। শুক্রবার রাতে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়িতে একা রেখে মা ক্ষুদ্র দোকানটিতে কেনাবেচা করতে যান আর বাবা আলম মিয়া নয়ারহাটে গরু বিক্রি করতে যান। এই সুযোগে বাড়িতে ছাত্রীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সাবেক সেনা সদস্য মমিন। একপর্যায়ে শিশুটিকে ব্লেড দিয়ে সারা শরীর, হাত-পা, বুক ও গলা ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। পরে মৃত ভেবে নলকূপের পাশে তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রামের এক নারী নলকূপে পানি আনতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে কলেরপারে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে প্রতিবেশীরা রাতেই তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আজম হোসেন জানান, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতেই পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। আমবাড়ি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য মমিনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
×