ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে মলম পার্টির ৬ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রামে মলম পার্টির ৬ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে থাকা অর্থ এমনকি দূর দূরান্তের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া যাত্রীদের টার্গেট করে এ চক্র কাজ করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মলম পার্টির ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চেতনানাশক ওষুধ ও ছোরা। জানা গেছে, বিটাকের পাশেই রয়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সাগরিকা গরু বাজার। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন বিটাক বাজারস্থ সালাম গার্মেন্টসের সামনে ওৎপেতে ছিল মলম পার্টির ৬ সদস্য। স্থানীয়রা তাদের গতিবিধির ওপর নজর রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পটিয়াস্থ শিকলবাহা এলাকার শহীদুল আলমের ছেলে মোঃ রুবেল, হালিশহর থানাধীন বেপারিপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আজমল হোসেন, আকবর শাহ থানাধীন পুলিশ বিট এলাকার মৃত শেরু মিয়ার পুত্র জয়নাল, মীরসরাইয়ের ব্রাহ্মণ সুন্দর রহিম বক্স এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন, একই এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে পাভেল ও লক্ষ্মীপুরের নন্দীগ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি চেতনা নাশক মলমের কোটা, ৩টি ছোরা ও একটি মোবাইল ফোন সেট। নীলফামারীতে জুয়া খেলায় বাধা ॥ ৪ বাড়িতে আগুন স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বাধা দিতে গিয়ে চারটি পরিবারের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে জুয়াড়িরা। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে জেলা সদরের চওড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আরাজী দোলুয়া গ্রামে। অগ্নিকা-ে চারটি পরিবারের ৪টি টিনের ঘর,আসবাবপত্র, নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া ৩টি ছাগল ও শতাধিক হাঁস-মুরগি আগুনে পুড়ে মারা যায়। অভিযোগ উঠেছে, ওই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইন্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে জুয়াড়িরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী মালেকা বেওয়া, পুত্র আব্দুল রাজ্জাক ও বাবু এবং আফতাব আলীর পুত্র হাসিবুল ইসলাম। এ ঘটনায় পরিবারগুলো থানায় মামলা দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গ্রামবাসীরা জানায়, হামলাকারীরা হুমকি দিয়েছে যারা জুয়াড় আসর বসাতে বাধা দেবে তাদের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হবে। নীলফামারী থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ইউপি সদস্য ইন্তাজুল ইসলামসহ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সংসদ সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের পক্ষে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান নগদ দেড় হাজার করে টাকা, ৩০ কেজি করে চাল, দুটি করে শাড়ি, লুঙ্গি ও কম্বল এবং রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে চিড়া গুড় ও দুটি কম্বল প্রদান করা হয়। সৈয়দপুরে মালামাল পরিবহনে চাঁদাবাজি স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুরের নিয়ামতপুরে খালেক পেট্রোল পাম্প এলাকায় মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন থেকে ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সার্ভিস চার্জের নামে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শনিবার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন। ট্রাক ও ট্যাংকলরি চালকরা অভিযোগ করেন, রসিদ ব্যবহার করে মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য সার্ভিস চার্জের নামে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চালকদের লাঞ্ছিতসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রহমান ডালু জানান, বিষয়টি অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন চাঁন মিয়া নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে অবৈধভাবে সৈয়দপুর ট্রাক মালিক সমিতি ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সার্ভিস চার্জের নামে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন মালামাল পরিবহন চালকরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×