ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেখ হাসিনার সব অর্জন ডকুমেন্টারির মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেখ হাসিনার সব অর্জন ডকুমেন্টারির মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা ডকুমেন্টারির মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরতে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, গত সাড়ে তিন দশকে শেখ হাসিনার যা কিছু অর্জন, তা শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বেই আজ সমাদৃত। স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর অবিসংবাদিত বিভিন্ন অর্জনের মহিমা স্বীকার তো করেই না, বরং সবসময়ই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। জাতির উন্নয়নে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কার কী ভূমিকা তা স্পষ্ট করা উচিত। তাই গণতন্ত্র ও ইতিহাসের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রীর কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা জরুরী। রবিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য সম্পাদিত বইটি প্রকাশ করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী। অনুষ্ঠানের আয়োজকও তারা। ২৬৭ পৃষ্ঠার বইটি মূলত ৩০টিরও বেশি কলামের সংকলন। এসব কলামে বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা সম্পর্কে শিক্ষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, উন্নয়নকর্মী ও তার স্বজনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির মূল্যায়ন উঠে এসেছে। ‘আওয়ামী লীগ পারে, আওয়ামী লীগই পারবে’ শিরোনামে শেখ হাসিনার নিজের একটি কলামও বইয়ে সংকলিত হয়েছে। বইয়ের শেষ দিকে শেখ হাসিনার ছোটবেলা থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ছবি স্থান পেয়েছে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক শফি আহমেদ, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এসএম ফজলুল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সব সময় প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্বের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করছেন। সামরিক শাসকেরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করেছে। আর শেখ হাসিনা পুনর্বাসিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধকে। এখন দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন ও সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে যুদ্ধ করছেন। শেখ হাসিনা পারেন এবং শেখ হাসিনাই পারবেন এ যুদ্ধে জয়ী হতে। এ সময় তিনি লন্ডনে দেশে গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন। আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোর বিরোধীরাও এখন বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। এরা সুযোগ সন্ধানী। সরকারী বিভিন্ন চাকরিতে তদবিরের জন্য বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরাও এখন আওয়ামী লীগার সাজছেন। এসব ‘হাইব্রিড আওয়ামী লীগার’ থেকে সত্যিকারের লীগ কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
×