ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে আসছেন শি জিনপিং

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সাইবার নিরাপত্তা চুক্তি শীঘ্রই

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সাইবার নিরাপত্তা চুক্তি শীঘ্রই

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রথমবারের মতো সাইবার নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। এ চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ অঙ্গীকার করবে যে, তারা শান্তিকালীন সময়ে একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পঙ্গু করে দিতে সাইবার হামলা চালাবে না। একে প্রথম সাইবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বলা যেতে পারে। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। এই চুক্তিতে বিদ্যুত কেন্দ্র, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, সেলফোন নেটওয়ার্ক ও হাসপাতালে হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে, চীন সাইবার হামলা চালিয়ে ব্যাপক বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তি হরণ এবং লাখ লাখ সরকারী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করেছে। চুক্তিটির প্রথম সংস্করণে এরূপ হামলার বিরুদ্ধে কোন রক্ষাকবচ থাকবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন আসার পর একটি সাইবার চুক্তি ঘোষণা দেয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জরুরীভিত্তিতে আলোচনা হয়েছে। গত বুধবার এক বিজনেস রাউন্ড টেবিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ক্রমবর্ধমান সাইবার হামলা এ বৈঠকের অন্যতম বড় ইস্যু হতে পারে। ওবামার লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া গড়ে তোলা, যাতে শেষ পর্যন্ত আরও অনেক দেশ যোগ দেবে। তবে আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ওবামা ও শি’র প্রাথমিক বিবৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলার ওপর বিধিনিষেধের সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত উল্লেখ নাও থাকতে পারে। এর পরিবর্তে ওই বিবৃতিতে জাতিসংঘের এক ওয়ার্কিং গ্রুপের সম্প্রতি গৃহীত নীতিমালা আরও উদারভাবে গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হতে পারে। জাতিসংঘের সাইবারস্পেস নীতিমালা বিষয়ক ডকুমেন্টের অন্যতম প্রধান নীতি হলো, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পঙ্গু করে দেয়া বা জনসেবার কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ব্যবহার ও পরিচালনা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার মতো কার্যকলাপ কোন দেশ অনুমোদন করবে না। ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাতিসংঘের নীতিমালা চীনা নেতার সাগ্রহে মেনে নেবেন, এটাই হবে মার্কিন আলোচকদের লক্ষ্য। বেশিরভাগ সাইবার হামলার লক্ষ্য গুপ্তচরবৃত্তি ও গোয়েন্দা তথ্য চুরি। নতুন নীতি এই চুরি ঠেকাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জেমস আর ক্ল্যাপার জুনিয়র মার্কিন কংগ্রেসকে বলেছেন, পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট অফিস থেকে দুই কোটি ২২ লাখ ফাইল চুরির ঘটনাকে হামলা বলা যাবে না। কারণ এটি ছিল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। আর এমনটি যুক্তরাষ্ট্রও করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কমান্ডের প্রধান ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) পরিচালক জেনারেল কিথ বি আলেকজান্ডার বলেছেন, একের পর এক সাইবার হামলার মাধ্যমে ইতিহাসের বৃহত্তম ‘তথ্য সম্পদের স্থানান্তর ঘটেছে’। হ্যাকাররা আলোচনার কৌশলপত্র এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ও জ্বালানির পাইপলাইন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য চুরি করেছে। -ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস।
×