ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট হাইকোর্টে খারিজ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট হাইকোর্টে খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়। এর ফলে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে আইনগত কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আদালতে শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। রিট আবেদনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনার সঙ্গে রুল জারি এবং নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ব্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক, দুদক, পুশিল কমিশনার ও শেরে বাংলা নগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়। আদেশের পর ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারের কাজী জিনাত হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফল যাতে প্রকাশ না করা হয় রুলে সে বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালত রিটটি খারিজ করে দেয়ায় মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‘ফাঁস হয়েছে’ দাবি করে রবিবার সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। ইউনুছ আলী আকন্দ রিট দায়েরের পর বলেছিলেন, মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করার জন্য শনিবার তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না আসায় তিনি রিট আবেদন করেন। গত শুক্রবার সরকারী-বেসরকারী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, যাতে অংশ নেন ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর যে ফল ঘোষণা করেছে, তাতে ভর্তির যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে ৪৮ হাজার ৪৪৮ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক চার শতাংশ ।
×