ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র

চার শিশু-কিশোরের বাড়ি ফেরার আকুতি

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চার শিশু-কিশোরের বাড়ি ফেরার আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সাত থেকে সতের বছরের চার শিশু-কিশোর। নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে ওরা। বিভিন্ন পথপ্রান্তর পার হয়ে ওরা এখন বাসিন্দা হয়েছে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও বাড়িতে ফিরার তৃষ্ণা তাদের চোখে-মুখে। ওদের কেউ কেউ নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছে না। শিশুদের একজন জসিম উদ্দিন। বয়স ১৪ বছর হবে। কথা বলে জানা যায় তার পিতা জালাল উদ্দিন একজন মাছ বিক্রেতা। মাতা করিমন বেগম। অস্পষ্টভাবে নিজের নাম আর পিতামাতার নাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে গিয়ে থেমে যায় সে। কিছুই যেন মনে করতে পারছে না। গত ১৪ আগস্ট যশোর আদালত মাধ্যমে নিরাপদ হেফাজতী হিসেবে শিশু জসিমের আশ্রয় মেলে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। আরেকজনের বয়স আনুমানিক ১০ বছর। নিজের নাম আর পিতামাতার প্রশ্ন এলেই চুপচাপ থাকা এ শিশুটির মুখ মলিন হয়ে যায়। ঠিকানা সম্পর্কে সে কোন কিছুই বলতে পারে না। গত ২৭ জুলাই সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে তার আশ্রয় হয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। একটু চঞ্চল স্বভাবের অন্য শিশুটি বাক প্রতিবন্ধী। বয়স ১৩ কি ১৪ হবে। বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করতেই তার চোখেমুখে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। পিতামাতা ও ঠিকানা সম্পর্কে সে কোন কিছুই বলতে পারে না। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী আদালতের মাধ্যমে তার প্রবেশ ঘটে এখানে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিশুটির নাম নাঈম। বয়স ১৭ বছরের মতো হবে। পিতামাতার নাম কিংবা ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। এ কারণে গত ৮ বছরে তার পরিবারে ফিরে যাওয়া হয়নি। ২০০৭ সালের ১৫ মে যশোর আদালতের মাধ্যমে তার ঠিকানা হয় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। শিশুদের বিষয়ে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, শিশুদের নিজ পরিবারে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু সঠিক ঠিকানার অভাবে সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধে তিন হাজার পুলিশ-আনসার নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মহাসড়ককে নিরাপদ, যানজটমুক্ত ও পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ঈদে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, রাস্তায় যেন মানুষ কষ্ট না পায় সে জন্য আমাদের সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়কে কেন্দ্র করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক হাজার আনসার ও এক হাজার পুলিশ সদস্য ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ, পরিবহন সমিতির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা পালাক্রমে কাজ করবে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি সোমবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে গাজীপুরের চন্দ্রা মোড়ে পুলিশ বক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান। ডিআইজি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস অন্যবারের চেয়ে এবার আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে। রাস্তায় যেন কোন চাঁদাবাজি না হয়, মলম পার্টি বা অন্য কোন ধরনের ক্রাইম না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চভাবে মানুষকে নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছি। এ সময় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চার জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ডিআইজি জানান, এই ঘটনায় তদন্তে কোন পুলিশ সদস্যের দোষ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যুতস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ শেরপুরে বিদ্যুতস্পৃষ্টে তাসলিমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে পৌর শহরের চকপাঠক মহল্লায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তাসলিমা ওই মহল্লার লাল মিয়ার স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননী।
×