ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্যাতন মামলার সাক্ষী হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ওপর বর্বরতা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নির্যাতন মামলার সাক্ষী হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ওপর বর্বরতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ লক্ষ্মীপুরে পপি নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার বিকেলে পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ছাত্রীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই এলাকার হাসনাবাদ মহিলা মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কামরুন্নাহার সুমিকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে শারীরিক নির্যাতন মামলার সাক্ষী হন পপি আক্তার। পপি একই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। এদিকে পপিকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তসলিম নামে এক ব্যক্তিকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৭ আগস্ট সোনাপুর এলাকায় কামরুন্নাহার সুমি নামে এক ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে একটি বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীরা। এ মামলার সাক্ষী হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে পপি আক্তার বাড়ি থেকে নির্যাতিত ছাত্রী সুমিকে দেখতে যাওয়ার পথে তার পথরোধ করে কিরণ, ভুলু, তসলিম ও কাজলসহ কয়েক সন্ত্রাসী। তারা পপিকে জোর করে পার্শ্ববর্তী একটি সুপারি বাগানে নিয়ে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে নির্মমভাবে মাথায় আঘাত করে এবং ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দুই হাতে ঢুকিয়ে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা পপিকে আহত অবস্থায় বাগানে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন নির্যাতিতের পরিবার। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলায় যেন সাক্ষ্য দিতে না পারে এ কারণে পপি আক্তারকে নির্যাতন করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করেছে বলে জানান তিনি।
×