ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে ফ্রিজ-ডিপ ফ্রিজ বিক্রি বেড়ে গেছে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদে ফ্রিজ-ডিপ ফ্রিজ বিক্রি  বেড়ে গেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে বিক্রি বেড়েছে দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের ফ্রিজ আর ডিপ ফ্রিজের। বেশিরভাগ কোম্পানি নিজেদের পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ক্রেতাদের জন্য দিচ্ছে মুল্যছাড়সহ বিভিন্ন উপহার। ফলে ফ্রিজ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ক্রেতারাও। ফ্রিজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখনকার বিক্রির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। কোরবানির ঈদে পশুর মাংস সংরক্ষণে সবারই থাকে বাড়তি আয়োজন। আর এজন্য প্রয়োজন পড়ে ফ্রিজের। কয়েক বছর আগেও দেশে ফ্রিজ বলতে ক্রেতাদের নির্ভর করতে হতো আমদানি করা বিভিন্ন বিদেশী ব্র্যান্ডের ওপর। কিন্তু সেগুলোর পাশাপাশি বাজারে এখন ভালভাবেই জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটি দেশীয় কোম্পানি। দীর্ঘদিন কোরবানির মাংস সংরক্ষণে ডিপ ফ্রিজ খুবই কার্যকরী বলে মনে করছেন ক্রেতারা। সব ধরনের পণ্য ক্রয়ে কিছু বাড়তি সুযোগ থাকলেও বাজারে ডিপ ফ্রিজের কাটতি সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় একটু বেশি। তবে শুধু মূল্যছাড় কিংবা অফার নয়; বরং ঈদ মৌসুমে ভালমানের পণ্য কিনতেও বাজারে আসছেন অনেকে। ঈদের বাকি মাত্র কয়েকদিন, তাই স্বাভাবিকভাবেই ফ্রিজের উৎপাদন কিংবা আমদানি সবকিছুই বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্তত এ বছর বিক্রির লক্ষ্য পূরণ করতে কোন সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন তারা। বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিতে থাকলেও এ বছর ঈদকেন্দ্রিক ফ্রিজের বেচাকেনা আশানুরূপ বলে জানিয়েছেন তারা। ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি জমে উঠেছে দেশীয় ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড মার্সেলের। বিশেষ করে দেশীয় আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাস উপযোগী করে তৈরি বড় ডিপযুক্ত মার্সেল ফ্রস্ট ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ক্রেতারা মার্সেল ডিপ ফ্রিজও কিনছেন। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, গত আট মাসে পণ্য বিক্রিতে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাদের দাবি, মার্সেল এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। মার্সেল নিজস্ব কারখানায় দেশেই তৈরি করছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য। মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে মার্সেল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে আশানুরূপভাবে। ঈদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে সরবরাহ চ্যানেল নির্বিঘœ রাখতে উৎপাদন বাড়িয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ। তিনি আরও জানান, গত বছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মার্সেলের। তিনি আশা করছেন, গত কোরবানির ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে পণ্য অনেক বেশি বিক্রি হবে।
×