ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামে নিম্নমানের লাইন ॥ লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কুড়িগ্রামে নিম্নমানের লাইন ॥ লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করায় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ৩৩/১১ উপকেন্দ্রটি প্রায় দুই মাস থেকে অচল অবস্থায় পড়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নদীবেষ্টিত ফুলবাড়ী উপজেলাবাসীর বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য ২০১৩ সালে ফুলবাড়ী-প্রাণকৃষ্ণ রাস্তার পাশে ৩৩ শতক জমির ওপর অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় ৫-এমভিএ উপকেন্দ্রটি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের জন্য ১৯৮৬ সালে তৎকালীন পিডিবি নির্মিত পুরাতন লাইনের পরিবর্তে নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা এলাকা থেকে ফুলবাড়ী উপকেন্দ্র পর্যন্ত নির্মিত হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩ কেভিএ লাইন। কাজটি সম্পন্ন করেন রংপুরের সাত্তার ব্রাদার্স কোং লিঃ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ শেষে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল উপকেন্দ্রটি চালু করা হয়। সে অবধি এ উপকেন্দ্রের আওতায় উপজেলার ১টি মিনি অটোরাইচ মিল, ২৬০টি রাইচ মিল, ৭৫০টি সেচ পাম্প, ১২০টি বরেন্দ্র পাম্পসহ প্রায় ১২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে আসছে। কিন্তু ৩৩ কেভিএ লাইনের ত্রুটির কারণে গত দুইমাস থেকে উপকেন্দ্রটি অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার মানুষ। দিনে ও রাতে চার ঘণ্টাও থাকছে না বিদ্যুত। ছাত্র/ছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারছে না, সামনে পরীক্ষা থাকায় ছেলেমেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। কয়েক মিনিট পর পর বিদ্যুতের যাওয়া আসার কারণে অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার এসএম মোজাম্মেল হক জানান, লাইনের সমস্যার কারণে ফুলবাড়ীতে বিকল্পভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে তাই লোড শেডিং হচ্ছে। নিম্নœমানের ইন্স্যুলেটর ও সরঞ্জামের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বছর আগের লাইন তখন কিভাবে নির্মাণ হয়েছে তা জানি না।
×