ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উজানের ঢলে তিস্তায় ফের বন্যা ॥ ৩২ বসতভিটা বিলীন

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

উজানের ঢলে তিস্তায় ফের বন্যা ॥ ৩২ বসতভিটা বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে ফের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন চর ও গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তাপারের নিম্নাঞ্চল ও চরের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার গত বন্যায় বিধ্বস্ত ক্রসবাঁধ দিয়ে পানি হুহু করে গ্রামে প্রবেশ করে আটশ’ পরিবারের ঘরবাড়ি কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র সরে গেছে। এর আগের বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ৪১ পরিবারের ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, ওই এলাকায় বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে মানুষজনের ভিটাবাড়ি যেমন বিলীন হচ্ছে তেমনি সেখানকার সীমান্তের চরখড়িবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পটি নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে। ওই ক্যাম্পের ভেতর দিয়েও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই-খগাখড়িবাড়ি-গয়াবাড়ি-খালিশাচাঁপানী-ঝুনাগাছ চাঁপানী-জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি-গোলমুন্ডা-শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে উজানের ঢলে তিস্তার বন্যায় তাদের এলাকার নদী বেষ্টিত দশ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। মানুষজন চরম দুর্ভোগের মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, উজান থেকে ধেয়ে আসা পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার কমে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
×