স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার অনুমোদনহীন একতা ক্লিনিকে অপারেশনের সময় সিজার রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দয়েরকৃত হত্যা মামলা প্রত্যাহার, ৩০২ ধারা বাতিল ও ডাক্তার-নার্সদের পেশাগত নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরায় সাধারণ চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা মঙ্গলবার থেকে সাতক্ষীরার কোন ক্লিনিক, বেসরকারী হাসপাতালে রোগী দেখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রাখবেন বলেও ঘোষণায় জানানো হয়েছে। এদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে অনীহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর হাসপাতালে অপারেশন রোগী গেলেই তাদের নানা অজুহাতে খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। গত রবিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে অপারেশন না করে ৪ রোগীকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ এসজেড আতীকসহ পাঁচ ডাক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে সম্প্রতি মামলা দায়ের করার পর ডাক্তারদের মধ্যে একটি গ্রুপ বেশ ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে সাতক্ষীরা একতা ক্লিনিকে এক সিজার রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ডাঃ দেবদুলাল সরকারসহ ডাক্তার, দুই নার্স ও ক্লিনিক মালিকসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পৃথক এই ঘটনার পর সাতক্ষীরার ডাক্তাররা বেশ ক্ষুব্ধ। সাধারণ মানুষ সাতক্ষীরার বিভিন্ন ক্লিনিক বা হাসপাতালের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না। সাতক্ষীরা সদর হাপাতালের একাধিক রোগী ও তার স্বজনেরা জানান, সরকারী হাসপাতালে আগের মতো সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। একটু জটিল রোগী হলেই তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে ডাক্তাররা সেবা না দিয়ে রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুমোদনহীন একতা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনে গৃহবধূ সুমনার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হোসাইন আলী বাদী হয়ে সদর থানায় তিন ডাক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
