ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টি ইসলাম তারিক

মোহামেডান-আবাহনীর বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মোহামেডান-আবাহনীর বিকল্প নেই

বাংলাদেশে ফুটবল জাগরণে দুই ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান-আবাহনীর বিকল্প নেই। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই ধ্রুব সত্য কথাটা একটু বেমানানই লাগতে পারে। কিন্তু অনেকের কাছেই এটা নির্জলা সত্য। এজন্য অবশ্য এই প্রজন্মকে দোষারোপ করা যাবে না। কারণ বর্তমানে মোহামেডান-আবাহনী খেলার ধারা প্রমাণ করছে তারা যেন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ কারণে ফুটবল কর্মকর্তাদের উচিত, এই দুই জনপ্রিয় দল সম্পর্কে এবং এই দু’দলের খেলা, জনপ্রিয়তা ও ইতিহাস সঠিকভাবে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাস দুটি ভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর। ঢাকা মোহামেডানের জন্ম সেই ১৯৩৬ সালে । যার সমর্থন শুধু মাত্র ঢাকাব্যাপী নয়, তৎকালীন সারা পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে। স্বাধীনতা পূর্ব সময় পর্যন্ত সাদা-কালোদের মূল প্রতিপক্ষ ছিল ওয়ান্ডারার্স, পাঁচবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন তৎকালীন ইপিআইডিসি, পরবর্তিতে বিজেএমসি ও ভিক্টোরিয়া। তবে নিজস্ব সমর্থক সৃষ্টি করতে পেরেছিল কেবল ঢাকা মোহামেডান। তবে একেবারে পিছিয়ে ছিল না ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবও। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে উত্থান ঘটে ঢাকা আবাহনীর। বলা চলে আধুনিক ফুটবলের জনক আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা। দলটি শুরুতেই পেয়ে যায় বিদেশী জার্মানি বেকল হপ্টের মতো সুদক্ষ প্রশিক্ষককে। তার নিপুণ প্রশিক্ষণে আবাহনী হয়ে উঠে দুর্র্ধর্ষ। ছোট ছোট পাশে খেলার তালিম দেন তিনি, আবাহনী দলের সবাই তাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেন। দৃষ্টিনন্দন ফুটবলশৈলীর কারণে হু হু করে বেড়ে যায় দলটির দর্শকসংখ্যা। এত দ্রুত দর্শক জনপ্রিয়তা আর অন্য কোন ক্লাবের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। ১৯৭৩ সালে প্রথম মোকাবেলাতেই মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ গোলযোগের কারণে প- হয়ে যায়। প্রথমে মাঠে খেলোয়াড়দের হাতাহাতি পরবর্তীতে তার রেষ গ্যালারিতে ছড়িয়ে পড়লে খেলা আর শেষ হয়নি। বিরতির কিছু সময় পর ম্যাচটি ভ-ুল হয়ে যায়। সেই থেকেই ঢাকা মোহামেডান আর আবাহনী অর্থাৎ সাদা-কালো আর আকাশি-হলুদ একে অপরের মাঠের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বা শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৯৫ পর্যন্ত মাঠে মোহামেডান-আবাহনী মানেই টান টান উত্তেজনা, শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ। এ দু’দলের খেলা হলে দেশ যেন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যেত। সাধারণ দর্শক তো আছেনই, দেশের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে আমলারা পর্যন্ত আলাদা হয়ে যেতেন। দুই তিন দিন আগে থেকেই চলত বাকযুদ্ধ। পত্র-পত্রিকায় লেখা হতো মোহামেডান-আবাহনী খেলা নিয়ে বড় বড় প্রতিবেদন, ফিচার। কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। এই দুটি ক্লাব সাফল্যও পেয়েছে প্রত্যাশিত। খেলা ৫টায় হলে দর্শকে গ্যালারি ভরে যেত দুপুর ১২টায়। দর্শকরা সারা দুপুর রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করত খেলা উপভোগ করার জন্য। রেডিওতে সারাদেশের মানুষ ধারাবিবরণী শোনার জন্য কান পেতে বসে থাকত। যখনই বলত রেডিও বাংলাদেশ, মোহামেডান বনাম আবাহনীর খেলার চলতি ধারাবিবরণী শোনার জন্য এখন আমরা স্রোতাদের ঢাকা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাচ্ছি। মাঠে থেকে ধারাবিবরণী দেবেন নুর আহমেদ, খোদাবক্স মৃধা, মঞ্জুর হাসান মিন্টু ও আবদুল হামিদ। চলুন ঢাকা স্টেডিয়ামে। ঢাকা স্টেডিয়ামের খোদাবক্স মৃধার আওয়াজ পাওয়া পর্যন্ত যে ৫-১০ সেকেন্ডের গ্যাপ ওই সময় দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতো। আজ খেলার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে আমাদের সুপ্রিয় আবদুল হামিদ ভাই, খোদাবক্স মৃধা, মঞ্জুর হাসান মিন্টুসহ আরও অনেকে। ফলে এখন সেই মধুর আওয়াজ পাওয়া যায় না।১৯৭৮ সালের কথা। সে সময় ঢাকা মোহামেডানের অধিনায়ক শামসুল আলম মঞ্জু আর আবাহনীর অধিনায়ক তার সহদর নান্নু। দুই ভাই দুই জনপ্রিয় দলের অধিনায়ক। এ আরেক উত্তেজনা। মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচে দুই ভাই কি করবেন? সবার প্রশ্ন। কানায় কানায় পরিপূর্ণ ঢাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তিল ধারনের জায়গা নেই। দুই দল মাঠে নেমেছে। দর্শকদের করতালি। সেন্টার লাইনে রেফারি আর দুই ভাই যখন করমর্দন করলেন সে এক অন্য রকম অনুভূতি। সারা মাঠের দর্শক দাঁড়িয়ে সম্মান জানালেন। আজকাল ফুটবলে এমন দৃশ্য আর দেখা যায় না। যারা ওই সময়ের ফুটবল দেখেছেন তাদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনাই বটে। এ প্রসঙ্গে সাবেক খেলোয়াড় এবং বর্তমান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ কাজী জসিম উদ্দিন জোশি বলেন, ‘আগে খেলোয়াড়রা ক্লাবে খেলতেন সমর্থক আর ক্লাবের টানে। সমর্থকরা যেমন খেলোয়াড়দের সম্মান করতেন, তেমনি খেলোয়াড়রাও নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলতেন। আজকাল সেই রকম দেখা যায় না। লীগের মাঝ পথেই খেলোয়াড়রা অন্য ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান, যেটা ফুটবলের প্রধান অন্তরায়।’ বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে মোহামেডান-আবাহনী এমন দুটি নাম যাদের ঐতিহ্য আর ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। মাঠের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলতে যেমন বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ক্লাব ফুটবলে বার্সিলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, মোহনবাগান-ইস্ট বেঙ্গল। বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তান-ভারতের নাম চলে আসে ঠিক বাংলাদেশের ফুটবল, হকি আর ক্রিকেটে চলে আসে অনায়সে মোহামেডান আর আবাহনীর নাম। এত সমর্থকপুষ্ট দল আর বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজকাল অন্যান্য দলগুলো সাফল্য পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তারা এই দল দুটির মতো সমর্থক সৃষ্টি করতে পারেনি। মোহামেডান-আবাহনী ফুটবলে নিজেদের হয়ে রেকর্ড গড়েছে এবং ভেঙেছে। যারা নিয়মিত খেলা দেখেছেন নিশ্চই মনে আছে আবাহনী ১৯৮৩, ৮৪ এবং ৮৫ সালে হ্যাটট্রিক লীগ শিরোপা জয় করে মোহামেডান শিবিরে হতাশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। মোহামেডান সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিল এই রেকর্ড আর কখনই ভাঙবে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে পরবর্তীতে ১৯৮৬, ৮৭ ও ৮৮-৮৯ মৌসুমেই মোহামেডান হ্যাটট্রিক লীগ বিজয় করে। মোহামেডানের সমর্থকদের বাড়তি পাওনা ছিল অপরাজিত হ্যাটট্রিক লীগ চ্যাম্পিয়ন। ১৯৮৬ সালে আবাহনী ফেডারেশন কাপ ফুটবল সেমিফাইনালে মোহামেডানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। ওই সময়কার সেরা বিদেশী ফরোয়ার্ড শ্রীলঙ্কান প্রেমলাল আবাহনীর হয়ে মোহামেডানের বিরুদ্ধে করে বসেন হ্যাটট্রিক। স্টেডিয়ামের এক পাশে আনন্দ উল্লাস আর আরেক পাশে মোহামেডান সমর্থকদের ফাইনালে না উঠার বেদনা। সঙ্গে প্রেমলালের হ্যাটট্রিক যেন বুকের মধ্যে পেরেক মেরে দিয়েছিল। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর সেই হ্যাটট্রিকের বদলা নেয় মোহামেডান। ২০০০ সালে মোহামেডান আবাহনীর লীগের খেলা চলছে। আবাহনী উড়িয়ে এনেছিল ভারতীয় খেলোয়াড় সাব্বির পাশাকে। মাঠে নেমেই নয় মিনিটে কেনেডির থ্রোইন গোল মুখে পড়লে সাব্বির পাশা হেড করে গোল করেন। দর্শকদের উল্লাস কমতে না কমতেই আবার গোল খেয়ে বসে মোহামেডান। ১৫ মিনিটে ফয়সাল এবং জুয়েল রানাকে কাটিয়ে সাব্বির বক্সে চমৎকার ক্রস দিলে ডনের দুর্বল শটে পরাস্ত হন পনির । আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও দুটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। পরবর্তীতে নাকিব ৩৩, ৫২ এবং ৭০ মিনিটে অসাধারণ গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ( ৩-২ )। শেষে এই খেলায় মোহামেডান ৪-৩ গোলে এক অবিস্মরণীয় বিজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ দর্শক সেদিন এই খেলা দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই দর্শক জোয়ার আজ কোথায়? ১৯৮০ সালের কথা। লীগে মোহামেডান-আবাহনীর খেলায় গ-গোল হলে ইয়াসিন এবং হারুন নামের দুই যুবক নিহত হন। গ্যালারিতে এবং মাঠের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক দর্শক উপস্থিত ছিল। পুলিশের লাঠিচার্জ টিয়ার গ্যাসে দিশাহারা দর্শক। বুলেটবিদ্ধ হন দুইজন। সেই সময় ফুটবলের জনপ্রিয়তা কেমন ছিল এই ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। মোহামেডান-আবাহনীর অনেক খেলোয়াড়ের দেশে এবং দেশের বাইরে কিছু গোল আজও চোখে ভাসে। আক্রমণ ভাগে সালাউদ্দিন, এনায়েত, মেজর হাফিজ, টিপু, প্রতাপ, রুমি, ওয়াসিম, আসলাম এবং মনু রক্ষণভাগে কায়সার হামিদ, স্বপন দাস, রঞ্জিত, আজমত মোনেম মুন্না, নান্ন্, মঞ্জু তাদের খেলা আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ওই সময় প্রিয় দলের খেলোয়াড়ের নাম এবং জার্সি নম্বর মুখস্থ ছিল অনেকের। এমন কি রিজার্ভ বেঞ্চে কে কে আছেন তাও সবার জানা ছিল। আজ নিয়মিত একাদশে কারা কারা খেলছেন পুরা লীগ শেষ হলেও তা বলতে পারে না অনেকেই। জার্সি নম্বর তো দূরের কথা। তবুও সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে তরুণ কিছু খেলোয়াড় নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এদের মধ্যে মোহামেডানের রানা, জুয়েল রানা, ইব্রাহিম, সবুজ আবাহনীর সাহেদ (সিনিয়র ),শাকিল ( জুনিয়র ), নাসির, ইমন বাবু শেখ জামালের নাসির, জামাল, ইয়ামিন, সোহেল, সোহেল রানা এবং শেখ রাসেলের তপু ও মিথুনের নাম উল্লেখযোগ্য। এখন ঢাকার মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শেখ জামাল ধানম-ি এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। তবুও এখন পর্যন্ত তারা নিজেদের সমর্থক সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। এভাবে ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে তাদেরও এক সময় হয়ত নিজস্ব সমর্থক তৈরি হয়ে যাবে। বর্তমান ফুটবল প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে মোহামেডানের ১৯৮৪ সালের অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের সাবেক লেফটব্যাক স্বপন দাস বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবলের গণজাগরণে শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলের পাশাপাশি মোহামেডান-আবাহনীর প্রয়োজন। কারণ ফুটবল মাঠে দর্শক একটা ফ্যাক্টর। মোহামেডান-আবাহনীর যেহেতু নিজস্ব সমর্থক রয়েছে, তাই এই ভাল দল গড়লে চারটি শক্তি যখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যুদ্ধে কাছাকাছি থাকবে তখনই মাঠে দর্শক বৃদ্ধি পাবে। আর দর্শক খেলার প্রাণ, দর্শক বৃদ্ধি পেলে খেলার মান বাড়তে বাধ্য।’ ঢাকার মাঠে বর্ষীয়ান সমর্থক আতা ভাই। স্টেডিয়ামপাড়ায় যাকে সবাই চিনেন। তিনি আজও বাংলাদেশের ফুটবলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার ধারণা মোহামেডান-আবাহনী ভাল দল গড়লে এবং ভাল মানের বিদেশী খেলোয়াড় আনলে এই ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নতুন আর পুরনো সমর্থকদের ভিড়ে আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে। আরও এগিয়ে যাবে দেশের ফুটবল। পুরনো সমর্থকদের অনেকেই স্টেডিয়ামে এই দুই দল সম্পর্কে যখন কথা বলা শুরু করেন তখন তারা আবেগাপ্লুত হয়ে যান। দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে গ্যালারির পানে চেয়ে থাকেন। এ কারণে অনেকে মত দিয়েছেন, বাংলাদেশে ফুটবল জাগরণে আবাহনী-মোহামেডানের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী। যা সময়ের দাবি বলেও মনে করেন তারা। এখনও আশায় বুক বেঁধে আছেন সবাই, দেশের ফুটবল একদিন ফের জেগে উঠবে। আবারও প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম হবেÑ‘আজ মোহামেডান-আবাহনীর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।’ স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য হবে দীর্ঘ লাইন, স্টেডিয়ামের বাইরে আওয়াজ পাওয়া যাবে ‘গ্যালারি গ্যালারি গ্যালারি’। বিকালে খেলা, আর দুপুর ১২ টায় স্টেডিয়াম হয়ে যাবে পরিপূর্ণ। হয়ত বা অনেকেই নির্ধারিত সময়ে রেডিওতে কান পেতে বসবেন, অপেক্ষা করবেন দীর্ঘদিন ধরে না শোনা এই কথাগুলোর জন্য, ‘আবাহনী-মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলার চলতি ধারাবিবরণী শোনাবার জন্য এখন আমরা শ্রোতাদের ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে যাচ্ছি। চলুন ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।’
×