ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এবারও লোকসানের শঙ্কায় রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

এবারও লোকসানের  শঙ্কায় রাজশাহীর  চামড়া ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গতবার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দরে চামড়া কিনতে হয়েছিল ট্যানারি মালিকদের। সে কারণে এখন অনেক ট্যানারি মালিকের কাছে চামড়া মজুদ আছে। চামড়া বিক্রি না হওয়ার কারণে অনেক চামড়া ব্যবসায়ীর অর্থলগ্নি হয়ে আছে ট্যানারিগুলো। অনেকে গতবারের অর্থ এখনও পাননি। এরই মধ্যে আবার কোরবানির ঈদ চলে এসেছে। এ বছর যথরীতি মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার চামড়া পাচারের শঙ্কা কম থাকলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিয়ে রীতিমতো শঙ্কায় পড়েছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা তৎপরতা শুরু করেছে। রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, কোরবানির মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভেড়া-ছাগল ও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার গরু কোরবানি হয়ে থাকে। এসব কোরবানির পশুর চামড়ার বেশির ভাগ চলে যায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের হাতে। মৌসুমি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে বিপাকে পড়তে হয় প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা। এতে জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হয়ে থাকে। রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব জানান, প্রতি বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব হয় না। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে লড়াইয়ে নামতে হয়। গত মৌসুমে বেশি দামে চামড়া কিনে ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে অনেক প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীর অর্থ এখনও লগ্নি হয়ে আছে।
×