ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিনামূল্যের চাল কালোবাজারে ॥ বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিনামূল্যের চাল কালোবাজারে ॥ বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের বরাদ্দকৃত ভিজিএফের ৫০ কেজি ওজনের ১৬৩ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিন্টুর বিরুদ্ধে । এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পরিমাণ চালের বস্তা ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় ৬ জন চাল ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি করেন। এ ঘটনায় বুধবার ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে বিচার দাবি করেছে। পাশাপাশি ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে চাল বিতরণ বর্জন করে। সূত্র মতে, ওই ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ডের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য সরকারের ত্রাণ দফতর হতে ৮ হাজার ১৬১ জনের জন্য ৮১ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন ( ৫০ কেজি ওজনের এক হাজার ৬৩৩ বস্তা) চাল বরাদ্দ প্রদান করে। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ৮১৬টি কার্ড তার পকেস্থ করে। নিয়ম অনুযায়ী এই চাল ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সেটি না করে বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর বিতরণের সময় ইউপি চেয়ারম্যানের কালো বাজারে ১৬৩ বস্তা চাল বিক্রির ঘটনা ফাঁস হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু একসঙ্গে ১৬১ বস্তা চাল বিক্রি করেন স্লিপের মাধ্যমে। যেমন একবস্তা (৫০ কেজি) চাল পাবেন ৫ জন ভিজিএফ কার্ডধারী। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান কালোবাজারে বিক্রীত চালের জন্য প্রতিবস্তা উত্তোলনে একটি করে স্লিপ দেন। সেখানে লিখে দিয়েছেন তিনি এক বস্তা চাল পাবেন। এভাবে তিনি ১৬১ বস্তার জন্য পৃথক স্লিপ করে দেন। যাতে চাল বিতরণের সময় সহজে উত্তোলন করা যাবে। কারণ এক সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে ১৬১ বস্তা ট্রাকে নিয়ে গেলে হাতে নাতে ধরা পড়ার ভয় থাকে। তাই ইউপি চেয়ারম্যান এই বুদ্ধি করে চাল বিক্রি করেন।
×