বিডিনিউজ ॥ যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে তাদের দেয়া ১৬টি শর্তের সব ক’টি পূরণের দাবি সরকার করলেও তা পেতে বাংলাদেশকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
ঢাকা সফররত ইউএসটিআরের (ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের প্রধান মাইকেল ডিলানি এবং ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বুধবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই ইঙ্গিত দিয়ে, বাংলাদেশ আসলে ওই শর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষে রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিলানি। তার আগেই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।
অনুষ্ঠানে ডিলানিকে একজন সহকারী সচিব হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। বলেন, তার বাণিজ্য ও বাংলাদেশ বিষয়ে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া শর্তগুলো পূরণ হয়েছে বলে বাংলাদেশে কারও কারও মত রয়েছে- তা জানার কথা স্বীকার করে নিয়েই ডিলানি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন বলছে, আরও অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে।’
ডিলানির বক্তব্যের আগে বার্নিকাট বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনাটি অনুসরণ করাই হচ্ছে সামনে এগোনোর সঠিক পথ এবং সেটাই করতে হবে।’
বাংলাদেশকে দেয়া পরিকল্পনায় কিছু ‘অন্তর্নিহিত’ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আছে যেগুলো পূরণ করতে হবে, বলেন রাষ্ট্রদূত।
তবে ইউএসটিআর কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল দাবি করেছেন, ইপিজেড শ্রমিকরাই ট্রেড ইউনিয়ন চায় না। তারা বর্তমান অবস্থায় খুশি আছে।
তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (প্রতিনিধি দল) চট্টগ্রাম ইপিজেড সফর করেছেন। সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছে তারা খুশি। সেখানে নিরাপত্তাজনিত কোন শঙ্কা নেই।’
‘আমি তাদের (ইউএসটিআর) বলেছি, আমাদের পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়,’ বলেন মন্ত্রী।
বৈঠকে ডিলানি বাংলাদেশকে দেয়া ১৬টি শর্তের অধিকাংশই বাস্তবায়নের কথা স্বীকার করেছেন দাবি করে তোফায়েল জিএসপি ফেরত না পেলে টিকফা চুক্তি কার্যকর না করার ইঙ্গিতও দেন।