ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগে লড়তে শিখেছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুর্যোগে লড়তে শিখেছে বাংলাদেশ

বিডিনিউজ ॥ জলবায়ু পরি-বর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ‘বিচক্ষণ নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার মানুষ শিখেছে- দুর্যোগে কীভাবে বাঁচতে হয়, কীভাবে লড়তে হয়। রবিবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ পুরস্কার বাংলাদেশের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের জনগণের ঐকান্তিকতা ও দৃঢ়তার স্বীকৃতি এই পুরস্কার। চলতি বছর শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক এই সর্বোচ্চ পুরস্কার দেয়া হলো ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগরিতে। প্রতিবেশগতভাবে ‘নাজুক অবস্থায় থাকা’ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘সামগ্রিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি’ এই পুরস্কার। পরিবেশ নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর চারটি ক্যাটাগরিতে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার দিয়ে আসছে ইউএনইপি। চলতি বছর শেখ হাসিনা ছাড়াও ‘ইনসপিরেশন এ্যান্ড অ্যাকশন’ ক্যাটাগরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী রক্ষাকর্মীদের দল ব্যাক মামবা এপিইউ, ‘সায়েন্স এ্যান্ড ইনোভেশন’ ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ‘এন্টারপ্রেনারিয়াল ভিশন’ ক্যাটাগরিতে ব্রাজিলের প্রসাধনী প্রস্তুতকারক কোম্পানি নেটুরা এ পুরস্কার পেয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমার দেশের মানুষ শিখেছে, কীভাবে বাঁচতে হবে, কীভাবে লড়তে হবে। আর আমরা তা করছি নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অনেক দেশ বাংলাদেশকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে উল্লেখযোগ্য কোন অর্থ বা সহায়তা মেলেনি। এ কারণে আমরা নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে, নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে কাজ শুরু করি। এর আগে শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশই প্রথম ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এ্যান্ড অ্যাকশন প্যান’ তৈরি করে পরিবেশ সুরক্ষার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে; আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের’ কারণে। শেখ হাসিনার উদ্যোগে বিশ্বে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের কথাও বলেন স্টেইনার। তিনি বলেন, এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশে বাজেটের ৬Ñ৭% অর্থ নির্দিষ্ট করে রাখা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত শঙ্কা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। জাতিসংঘের লক্ষ্য অনুযায়ী ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে নিরাপদ একটি বিশ্ব রচনার কার্যক্রমে শেখ হাসিনার ‘বিচক্ষণ’ নেতৃত্ব অনেক রাষ্ট্রকেই ‘উৎসাহিত’ করছে মন্তব্য করে স্টেইনার বলেন, এর স্বীকৃতি হিসেবেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হলো। পুরস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এই পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করেন বাংলার মানুষের জন্য। আমার দেশের মানুষকে আমি ভালবাসি। আমার জীবন আমি উৎসর্গ করেছি তাদের জন্য। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই আমি কাজ করছি। লক্ষ্য পূরণে চাই অর্থ-প্রযুক্তি ॥ জাতিসংঘে গৃহীত উন্নয়নের টেকসই লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অর্থ, প্রযুক্তি ও ঋণ নিয়ে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এসডিজি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এসডিজি সফলভাবে পূরণ করতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। সব দেশের বাস্তবতা, সক্ষমতা এবং উন্নয়নের মাত্রা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। সব রাষ্ট্রের জাতীয় নীতি ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে শ্রদ্ধা দেখানোও জরুরী। সব ধরনের অসমতা নিয়েই আমাদের আলোচনা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকা-ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার উপরও জোর দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ২০০০ সালে গৃহীত এমডিজির গুরুত্ব অনুধাবন করার কারণেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে আমরা জনগণ ও সম্পদকে কাজে লাগিয়েছি। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিশুমৃত্যু ও সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্তের হার কমানোÑ এমডিজির এমন সব লক্ষ্য অর্জিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতামূলক নীতির কথাও শেখ হাসিনা তুলে ধরেন। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এজেন্ডা ২০৩০) এবং আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘শপথ’ নেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পুরো এজেন্ডা এবং এর সবগুলো লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সক্ষমতা অর্জনে সহায়তার পাশাপাশি আমাদের ঋণ প্রয়োজন। এসডিজি পূরণে বাংলাদেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের তত্ত্ববধানে নতুন জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, আসন্ন প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তি হলে তা এসডিজি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। উন্নয়নের এই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং নতুন জলবায়ু চুক্তি আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষা দেবে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, কাতার, মালদ্বীপ সিঙ্গাপুর, সৌদি আরবের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিও সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত ॥ দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এ বৈঠক হয়। সে সময় বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে দুই দেশই জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন বলে উল্লেখ করেন তারা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আর ভারতীয় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব ড. জয়শঙ্কর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিইউইয়র্কে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে মোদি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে বলে আবারও আশ্বাস দিয়েছেন। তবে চুক্তিটি কবে হবে তার কোন দিন তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি। ঈদের দিন সকালে ম্যানহাটনের অভিজাত হোটেল ওয়ার্ল্ড অব এস্টোরিয়ায় আধাঘণ্টার এই অনির্ধারিত বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মোদি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতিতে বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি, সার্কভুক্ত দেশসমূহের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সীমান্ত চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম জানান, বৈঠকে দুই নেতা নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি প্রাধ্যান্য পেয়েছে। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রূপপুর প্রকল্পের টিম ওয়ার্কের প্রশংসা করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা বা মতপার্থক্য তৈরি হতেই পারে। তবে তা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে আমাদের প্রতিবেশী চার দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে যে উন্নতি হয়েছে তার সুফল এ অঞ্চলের জনগণ উপভোগ করতে পারবে। তিনি জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এবং প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা, মশিউর রহমান ও গওহর রিজভী। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ বৈঠকের ব্যাপারে ভারতীয় গণসাধ্যম একেবারেই চুপচাপ। এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের কোন সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে কোন খবর প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। কিছু আইনগত জটিলতা কাটলেই ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে কিছু আইনগত সমস্যা সমাধানে সরকার অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের এখন পর্যাপ্ত আধুনিক বোয়িং এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে। কিন্তু নিউইয়র্কের জে কে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালুতে কিছু আইনগত জটিলতা রয়েছে। তিনি রবিবার এখানে হোটেল হিলটনে তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ শাখা আয়োজিত এক সংবর্ধনায় ভাষণকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। খবর বাসসর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ফলপ্রসূ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ তার নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে চায়- এ কথা উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি সবখানে- সব সময় দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নে৻ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে যাদের কোন অবদান নেই, দেশের প্রতিও তাদের কোন দরদ থাকবে না। তারা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। ব্রুকলিন থেকে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইভেট ক্লার্ক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত এবং বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও শাহরিয়ার আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×