ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছেই

জলবায়ু নিয়ে নতুন অঙ্গীকার লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট নয়

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জলবায়ু নিয়ে নতুন অঙ্গীকার লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট নয়

জলবায়ু নিয়ে নতুন অঙ্গীকার লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট নয়। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অঙ্গীকার সত্ত্বেও এই গ্রহের উষ্ণতা বাড়ছেই। নতুন অঙ্গীকারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংগ্রামরত দেশগুলো এখনও পৃথিবীর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন করতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে এই স্তরের উষ্ণতায় খাদ্যাভাব থেকে উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের ব্যাপক বিলুপ্তির মতো বিপর্যয় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বৈশ্বিক জলবায়ু রাজনীতি জগতে এটিকে অগ্রগতি হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক জলবায়ু বিষয়ক একটি গ্রুপ ক্লাইমেট ইন্টারএ্যাকটিভের গবেষকদের বিশ্লেষণের ফলাফল সোমবার নিউইয়র্কে প্রকাশ করা হয়। তাদের বিশ্লেষণ মার্কিন আলোচক ও আরও অনেক দেশের সরকার ব্যবহার করে। এতে বলা হয়েছে, যৌথ অঙ্গীকারের হালে এই শতকের শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট কমতে পারে। যদি এই দেশগুলো তাদের অঙ্গীকারের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত থাকে এবং তাদের কার্বন নির্গমন বর্তমান মাত্রায় অব্যাহত থাকে তাহলে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ু রাজনীতির ইতিহাসে এটি হবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এবং ২০ বছরের হতাশাজনক আলোচনা নতুন যুগের সূচনা করতে পারে যখন দেশগুলো সম্ভাব্য বৈশ্বিক তাপমাত্রার বাধা সরানো শুরু করবে। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০ সালে নির্ধারণ করা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও অনেক দূরে বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘের লক্ষ্য ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখা। কিন্তু বর্তমানে যে হারে কার্বন নিঃসরণ ঘটছে, তাতে এই সময়ের মধ্যে তা ২ দশমিক ৯ থেকে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে এবং তখন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এই মাত্রার উষ্ণায়ন কৃষি, সমুদ্রতল ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০২৫ সাল থেকে তারা কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক অধ্যাপক জন ডি স্টারম্যান বলেছেন, দেশগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ। তবে তা যথেষ্ট নয় এবং লক্ষ্যমাত্রার কাছেও নয়। জাতিসংঘে রবিবার বিকেলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, সবারই এখন বিশ্বাস যে প্যারিস সম্মেলনে একটি চুক্তি হবে। তবে প্রশ্ন হলো, কি ধরনের চুক্তি হবে। তবে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও কিছু কূটনীতিক ও বিজ্ঞানীর মধ্যে আশাবাদ বাড়ছে যে, অগ্রগতি সম্ভব হয়ে উঠেছে। -ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস।
×