ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবার সমস্যায় জর্জরিত

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১ অক্টোবর ২০১৫

ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবার সমস্যায় জর্জরিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ চরম অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় চলছে ঠাকুরগাঁও সরকারী শিশু পরিবার (বালিকা)। এখানে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এবং অযতেœর কারণে শতাধিক এতিম শিশুর দিন কাটছে অতিকষ্টে। এসব এতিম শিশুর নেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা। সুইপার ঝাড়ুদারের কাজ করতে হয় কোমলমতি শিশুদেরই। এমনকি রান্নার কাজেও সহযোগিতা করতে হয় তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবলের অভাবের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায় ওই শিশু পরিবার (বালিকা) নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরেজমিন দেখা যায়, শহরের পাশে জগন্নাথপুর এলাকায় ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট সরকারী শিশু পরিবারে বর্তমান ১শ’ এতিম কন্যাশিশু অবস্থান করছে। ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-পঞ্চগড় জেলার মধ্যে একমাত্র বালিকা শিশু পরিবার এটি। চারতলা বিশিষ্ট ওই ভবনের প্রত্যেক কক্ষ বালিকা দিয়ে পরিপূর্ণ। খেলার মাঠ থাকলেও নেই কোন খেলার সরঞ্জাম। শিশু পরিবারের পেছনের দেয়ালে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে ওই শিশুরা। সব মিলিয়ে ভাল নেই শিশু পরিবারের শিশুরা। শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্ব¡াবধায়কের কার্যালয় জানায়, ১৯৭৫ সালে ৩ একর জমির উপর ১শ’ আসন বিশিষ্ট একটি টিনশেডে ঠাকুরগাঁও সরকারী শিশু সদন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন ভবন নির্মাণ করার পর এখানকার জনবল বাড়ানো হয়নি আজও। ১৮ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১৩ জন। এর মধ্যে প্রধান পদটি হলো উপ-তত্ত্বাবধায়কের। সে পদটি ছাড়াও সহকারী উপ-তত্ত্ব¡াবধায়কের পদটিও দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। একইভাবে শূন্য রয়েছে অফিস সহকারী, সহকারী শিক্ষক, নার্স ও বড় ভাইয়ের পদ এবং বাবুর্চি ২ জনের মধ্যে আছে একজন। এ ব্যাপারে শিশু পরিবারের ভারপ্রাপ্ত উপ-তত্ত্বাবধায়ক সাইয়েদা সুলতানা জানান, এখানকার প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনবলের অভাব। জনবল বাড়ানোর জন্য বহুবার লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। ফলে এতগুলো পদ শূন্য থাকায় ১শ’ শিশুর পরিচর্যা করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা করা হয় এসব এতিম শিশু যেন কষ্ট না পায়। চাঁপাইয়ে বিদ্যুত লাইন সংস্কারের অভাবে চরম লোডশেডিং স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা। পর্যাপ্ত বিদ্যুত সরবরাহ থাকার পরও গত এক মাস ধরে জেলা শহরে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনের বেলা ৭-৮ বার ও সন্ধ্যা নামাসহ রাত ১২টার মধ্যে কম করেও ৮ বার বিদ্যুত চলে যায়। কোন কোন দিন রাতে পাঁচ থেকে ১৫ মিনিট পর পর বিদ্যুত যাওয়া-আসা একটা সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন কম্পিউটার, ফ্রিজসহ নানান ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে। বিদ্যুত বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়, কেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। সর্বক্ষণিক লাইনে বিদ্যুত থাকলেও জেলা শহরসহ উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে লাইনের কারণে সম্প্রতি রেহাইচর এলাকায় শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বীরশ্রেষ্ঠ সেতুর কাছাকাছি লাইন ছিঁড়ে পড়লে ৩১টি মহল্লা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অবস্থা চলছে পুরো পৌর এলাকায় মাঝে মধ্যেই। উপজেলাগুলোর অবস্থা আরও করুণ। সম্প্রতি গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকাসহ তিন ইউনিয়ন ও নাচোল উপজেলার ৪ ইউনিয়নের সর্বত্র ২০ ঘণ্টা বিদ্যুত না থাকায় দুর্ভোগে পড়ে লাখো মানুষ। নির্বাহী প্রকৌশলী নূরে আলম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর ৩৩ কেভি মেন লাইনের ১৩টি স্থানে বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। সূত্রমতে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ এ বিদ্যুত লাইনে প্রায় ত্রুটি ধরা পড়ছে। যার কারণে আমনুরা-রহনপুরের মধ্যে একটি বাইপাস ৩৩ কেভি বিকল্প লাইন টানা ছাড়া এ ধরনের লোডশেডিং দূর করা সম্ভব নয়।
×