ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খুন গুম হলেই চট্টগ্রামে চোখে পড়ে গোয়েন্দা নজরদারি

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২ অক্টোবর ২০১৫

খুন গুম হলেই চট্টগ্রামে চোখে পড়ে গোয়েন্দা নজরদারি

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ হত্যা, গুম, অপহরণের পর টনক নড়ে পুলিশের। শুরু হয় তীক্ষè নজরদারি। হঠাৎ এমন নজরদারিতে হিমশিম অবস্থায় পড়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ আকস্মিক চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি থেকে শুরু করে চলে দেহ তল্লাশি পর্যন্ত। প্রশ্ন উঠেছে গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারি নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, দেশে গোয়েন্দা নজরদারির অভাবে বিদেশী নাগরিক হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হচ্ছে অস্ত্র ও মাদকের চালান। উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি এনজিওর প্রকল্প পরিচালক হত্যার ঘটনার পর চট্টগ্রামেও নিরাপত্তা তীব্রতার প্রভাব পড়েছে। বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে। চট্টগ্রামের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রায় এক হাজার ও দুটি ইপিজেডে কর্মরত প্রায় পাঁচ শ’ বিদেশী নাগরিকের নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ করে নামী দামী হোটেলে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের পরিচয় থেকে শুরু করে কর্মযজ্ঞের তথ্য কালেকশনে নেমেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ। প্রশ্ন উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের নজরদারি কতদিন পর্যন্ত বলবত থাকবে। এদিকে স্বল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে সিএমপির ষোলোটি থানা, গোয়েন্দা বিভাগের দুটি দফতর, সিটিএসবিসহ বেশ কয়েকটি দফতরে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি বাবুল আকতার জানান, চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল বিদেশী নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে হোটেলে থাকা বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত কালেকশন করা হচ্ছে। ইপিজেডে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের কর্মস্থল ও আবাসস্থলে নিরাপত্তা বিধান এবং ইউএসটিসি ও এশিয়ান ওম্যান্স ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পার্কে আড্ডা, কুমিল্লায় ৪৭ প্রেমিকযুগল আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১ অক্টোবর ॥ ফাঁকি দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ-পার্কে আড্ডা ও প্রেম বিনোদনের সময় ৪৭ প্রেমিকযুগলকে বৃহস্পতিবার আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এদের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও নগরের উঠতি মাস্তান রয়েছে। জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া একশ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস-পড়ালেখা ফাঁকি দিয়ে নগরীর বোটানিক্যাল গার্ডেন, নগর পার্ক, চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় আড্ডা ও প্রেম বিনোদনে সময় কাটায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এসব স্থানে জেলা ডিবি পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করে ৪৭ জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নগরজুড়ে তোলপাড় চলছে। ডিবির ওসি মনজুর আলম জানান, আটককৃতদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, লেখাপড়া ও অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে এ ধরনের মেলামেশা সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি করছে। তাই সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালীন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
×