ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২ অক্টোবর ২০১৫

চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে হত্যা মামলার রায়ে ২ জনকে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এনাম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। একই রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আইয়ুব খান জানান, দ-িত দু’আসামি হলেন- আবু রায়হান (২৭) ও মো. শহীদ। রায়হান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাবিলদার আবুল বাশারের পুত্র এবং শহীদ পেশায় একজন গাড়ি চালক। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকা ১৫ নম্বর সড়কের ১২৯ নম্বর বাড়ি ‘পদ্মা-যমুনা’ ভবনে গত বছরের ২৪ মার্চ এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। দিনে-দুপুরে বাসায় ঢুকে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় সিএ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪৯) ও তার মেয়ে সায়মা আক্তারকে (১৭)। দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে প্রথমে মাকে হত্যা করে। দেখে ফেলায় একই কায়দায় হত্যা করে মেয়েকেও। ঘটনার পর পুলিশ ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে রক্তমাখা ছোরা, জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, একটি ব্যাগে থাকা দুই বোতল পেট্রোল, সাতটি মোবাইল সিম, টেঁটা ও তোয়ালে। মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদকে (৬৫) অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে অপহরণকারীরা। মুক্তিযোদ্ধা রশিদ নগরীর পাঠানটুলা শ্রাবণী এফ/৩ নং বাসার বাসিন্দা। বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে তাকে মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ আদায়ের পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ রোড এলাকায় তাকে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। আবদুর রশিদের ছেলে সুহেল আহমদ জানান, বুধবার মদিনা মার্কেট এলাকার একটি মসজিদে যোহরের নামাজ আদায়ের পর সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুর রশিদ। এ সময় অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক এসে তার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে কৌশলে অজ্ঞান করে দেয়া হয় আবদুর রশিদকে। কয়েক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে আবদুর রশিদ চোখ মেলে একটি বদ্ধ ঘরে নিজেকে দেখতে পান। এ সময় অপহরণকারী ৪-৫ যুবক তার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু তিনি এতো টাকা দিতে পারবেন না, এমনটা জানানোর পর তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আবদুর রশিদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছেলে সুহেল আহমদের কাছে ফোন করা হয়। ফোনে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সুহেল ০১৭৩৭৩০৩৮৬৬ নম্বরে ২০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন।
×