ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত সোয়া ৩ লাখ কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২ অক্টোবর ২০১৫

রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত সোয়া ৩ লাখ কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ ২২ হাজার ৭১০ কৃষককে রবি মৌসুমের কৃষি উপকরণ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নিজ মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলার কৃষক এই প্রণোদনা পাচ্ছেন। কৃষকদের উন্নত জাত এবং নতুন উদ্ভাবিত ফসল আবাদে উৎসাহিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হচ্ছে ৩২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আর এতে প্রায় ২১১ কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি উন্নত ও নতুন জাতের এই কর্মসূচীর আওতায় কৃষক গম, ভুট্টা, সরিষা, আলুসহ রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের উপকরণ পাচ্ছেন। এ কর্মসূচীর আওতা থেকে ২১০ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কৃষি পুনর্বাসন এবং কৃষির উন্নত ও নতুন জাতের সম্প্রসারণের জন্য প্রণোদনাবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রণোদনা পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত জেলার প্রতি উপজেলার কমিটির মাধ্যমে আসন্ন রবি মৌসুম ফসল বীজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। প্রস্তাবিত এ পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচীতে ব্যয়িত অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে সংকুলান করা হবে। এর জন্য কোন অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন নেই বলে মন্ত্রী জানান। এছাড়া বিএডিসির ৩২ টন, বিনা ও বারির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফসলের (শাকসবজিসহ) ১০ দশমিক তিন টনসহ মোট ৪২ দশমিক তিন টন বীজ পাওয়া যাবে যা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলার ১০ হাজার ২৫৭ কৃষকের মধ্যে বিরতণ করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান। তিনি বলেন, প্রতি কৃষকের জন্য গমের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমিতে ২০ কেজি গম বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে কৃষক প্রতি ব্যয় হবে এক হাজার ৪৩৫ টাকা। ভুট্টার ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য দুই কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন এতে একজন কৃষক সহায়তা পাবেন এক হাজার ৩১৫ টাকা। সরিষার ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি সরিষা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন, এতে ব্যয় হবে ৭৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া আলুর ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ১০ শতক জমির জন্য ৮০ কেজি আলু বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। এতে কৃষকপ্রতি ব্যয় হবে দুই হাজার ৭১০ টাকা।
×