ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জুভেন্টাসের জয়রথ চলছে

দুই ম্যানচেস্টারের প্রথম জয়

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২ অক্টোবর ২০১৫

দুই ম্যানচেস্টারের প্রথম জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পিছিয়ে পড়েও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে দুই ম্যানচেস্টার। বুধবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-১ গোলে পরাজিত করে জার্মান ক্লাব উলফসবার্গকে। ওল্ডট্রাফোর্ডে ম্যানইউর হয়ে গোল করেন জুয়ান মাতা ও ক্রিস স্মার্লিং। ‘ডি’ গ্রুপে ম্যানচেস্টার সিটি একই ব্যবধানে পরাজিত করে আরেক জার্মান ক্লাব বরুসিয়া মনমেনগ্লাডব্যাচকে। এই গ্রুপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ২-০ গোলে হারায় স্পেনের সেভিয়াকে। মূলত মাতার নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে ম্যানইউ। নিজে প্রথম গোল করার পশাপাশি স্মলিংয়ের গোলেও অবদান রাখেন। ওল্ডট্রাফোর্ডে স্বাগতিক সমর্থকের স্তম্ভিত করে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় অতিথি উলফসবার্গ। ম্যাক্স ক্রুসের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বক্সে ভেতরে পেয়ে যান ফাকায় থাকা ড্যানিয়েল ক্যালিগুরি। গোল করতে কোন সমস্যাই হয়নি তার। পিছিয়ে পড়া ম্যানইউ সমতা ফেরায় ৩৪ মিনিটে। ডি বক্সের মধ্যে মাতার শট ক্যালিগুরি হাত দিয়ে আটকালে পেনাল্টি দেয় রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে মাতার অসাধারণ এক পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন স্মালিং। উড়ে আসা বলে ব্যাক হিল করে বক্সের ভেতরে থাকা স্মলিংকে দেন মাতা। তা থেকেই স্বাগতিক সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ইংলিশ ডিফেন্ডার। দুই আর্জেন্টাইনের নৈপুণ্যে আরেক ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটিও জয় পেয়েছে। চোটের কারণে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয় জনকে ছাড়াই খেলতে নামে সিটি। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ সব জায়গাতেই নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে শুরু থেকেই কিছুটা ভুগতে দেখা যায় ইংলিশ ক্লাবটিকে। সম্প্রতি বাজে পারফর্মেন্সের কারণে সিটির খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসেও অনেকটা ঘাটতি ছিল। যার প্রভাব দেখা যায় পুরো ম্যাচে। জার্মান ক্লাব মনশেনগ্লাডব্যাচ অনেকটা একচেটিয়ে খেলেও ভুলের কারণে হেরে যায়। একের পর এক আক্রমণ শাণানো মনশেন প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ২০ মিনিটে সিটির ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি ডি বক্সে প্রতিপক্ষের রাফায়েলকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মনশেনগ্লাডব্যাজ। স্পট কিকক নেন ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল নিজেই। কিন্তু তার শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন সিটি গোলরক্ষক জো হার্ট। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে স্বদেশী জুলিয়ান কর্বের পাস ধরে ডি বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের শটে মনশেনগ্লাডব্যাচকে এগিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার লার্স স্টিন্ডি। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি তাদের। ৬৫ মিনিটে সিটি সমতায় ফেরে ক্রিস্টিনসেনের আত্মঘাতী গোলে। তার আগেই অবশ্য মার্টিন ডেমিচেলিসের প্রচেষ্টায় গোল পেতে পারত সিটি। এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের হাঁটু দিয়ে মারা বল গোললাইন পার হয়ে গেলেও রেফারি বাঁশি বাজাননি। বলটি প্রায় দুই হাত ভেতরে প্রবেশ করে। তবে তা ছিল শূন্যতে। বল শূন্যে থাকা অবস্থায়ই স্বাগতিকদের একজন ডিফেন্ডার তা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ফিরতি বলে ওটামেন্ডির নেয়া শট মনশেনগ্লাডব্যাচের ক্রিস্টিনসেনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। ৯০ মিনিটে কাক্সিক্ষত জয়সূচক গোলের দেখা পায় সিটি। ডি বক্সের মধ্যে এ্যাগুয়েরোকে মনশেনগ্লাডব্যাচের ফ্যাবিয়ান জনসন ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। স্পট কিক থেকে গোল করেন এ্যাগুয়েরো নিজেই। ঘরোয়া লীগে ব্যর্থতার গ-িতে বন্দী থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জয়ের ধারাতেই আছে জুভেন্টাস। সেভিয়াকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে গতবারের রানার্সআপরা। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ৪১ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সেভিয়ার মিডফিল্ডার কোনোপ্লাইয়াঙ্কার ভুলে বল পেয়ে যান আন্দ্রেই বার্জাগলি। এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাটা। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। গোল করেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার সিমোনে জাজা।
×