ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা সংক্রান্ত জটিলতা ও জনবল সঙ্কট ;###;এক শিফটে চলছে বহু স্টেশন

সারাদেশে ১১৪ রেলস্টেশন বন্ধ, বন্ধের পথে আরও ৫০

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৩ অক্টোবর ২০১৫

সারাদেশে ১১৪ রেলস্টেশন বন্ধ, বন্ধের পথে আরও ৫০

রাজন ভট্টাচার্য ॥ সর্বোচ্চ দুই যুগ। এক যুগের হিসেবও আছে। দীর্ঘ এই সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের ১১৪টির বেশি রেলস্টেশন। প্রায় ৫০টি স্টেশনে এক শিফটে ট্রেন থামে। জনবল সঙ্কট ও অব্যাহত লোকসানের কারণে আরও অন্তত ৫০টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে। তবুও রেলওয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় বন্ধ থাকা স্টেশনগুলো চালুর বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। লোকসান রোধেও কোন পদক্ষেপ নেই। মন্ত্রণালয় বলছে, ৬৪ জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কথা। যদিও বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূল মানুষের জোর দাবি, বন্ধ স্টেশন দ্রুত খুলে দেয়ার। কর্মকর্তারা বলছেন, স্টেশন চালুর ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় মামলা সংক্রান্ত জটিলতা ও জনবল সঙ্কট। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত ৯০ জন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ চূড়ান্ত করে কিছু স্টেশন চালু হতে পারে। বাস্তবতা হলো, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পুরনো স্টেশন চালুর বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত। তা না হলে প্রায় দুই দশক কোন স্টেশন বন্ধ থাকতে পারে না। আর মজার বিষয় হলোÑ অনেক রেলস্টেশনে নতুন করে ভবন নির্মাণ করার পরও জনবল সঙ্কটের দোহাই দিয়ে চালু করা হচ্ছে না। ১১৪টি রেল স্টেশন বন্ধ ॥ রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৪৫৩টি স্টেশনের মধ্যে ১১৪টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে অব্যাহত লোকসান ও জনবল সঙ্কটের মুখে আরও বেশ কয়েকটি স্টেশন বন্ধের পথে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। জনবল সঙ্কটের কারণে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২০ সেট কমিউটার ট্রেন, ১১টি লোকমোটিভ, ৮১টি তেলবাহী ট্যাংকার, ২২০টি কন্টেনারবাহী ফ্লাট ওয়াগন যুক্ত হবে। বাংলাদেশ সরকার, জাপানের সরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এবং ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের অর্থায়নে এসব ট্রেন ও ইঞ্জিন সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান। মামলার কারণে ১১ হাজার জনবল নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না ॥ রেলওয়ে উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়ের মধ্যে রয়েছে জনবল সঙ্কট। এর নেপথ্য কারণ হলো মামলা সংক্রান্ত জটিলতা। যার পথ তৈরি করে দিয়েছে খোদ রেল বিভাগ। কারণ মাস্টাররোলে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে এসব পদে লোক নিয়োগের সময় মাস্টাররোলের কর্মচারীদের গুরুত্ব দেয়া হয় না। আবার অনেকে বছরের পর বছর কাজ করছেন বিনে পয়সায়। অথচ এসব মানুষের মূল্যায়ন হয় না। যার প্রেক্ষিতে রেলের প্রায় সব নিয়োগেই মামলার কারণে আটকে যায়। রেলওয়ের মাস্টাররোলে কাজ করতে থাকা লোকজন প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের শরণাপন্ন হন। নিয়োগ প্রার্থীরাও অনেক সময় মামলা করে থাকেন। কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার কারণে অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। স্টেশন মাস্টার নিয়োগ করতে না পারায় অনেক রেলস্টেশনের কাজ শেষ হলেও সেগুলো চালু হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক সময়ে ১১ হাজার জনবল নিয়োগের অনুমতি দিলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। শূন্য পদেও নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। বন্ধ থাকা রেলস্টেশনগুলো চালু প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা সব স্টেশন চালু করতে চাই। তিনি বলেন, স্টেশনগুলো চালু করতে মূল প্রতিবন্ধকতা হলো জনবল। সঙ্কট নিরসনে ২৭৯ স্টেশন মাস্টার নিয়োগের বিষয়টি অচিরেই অনুমোদন হবে। এর পরপরই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা জানান তিনি। সালাহ উদ্দিন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে মাস্টারদের প্রশিক্ষণের জন্য কিছু সময় লাগবে। ১১৪টি রেল স্টেশন বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৯১ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বাকি জনবল পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেয়া হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি মামলা থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এসব মামলার বাদী আবেদনকারীসহ সাধারণ মানুষ। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ হাবিবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, মাস্টার সঙ্কটের কারণেই বন্ধ থাকা স্টেশনগুলো চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব) মকবুল আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, স্টেশনগুলো চালু করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো রেলস্টেশন চালু করারও আশ্বাস দেন তিনি। রেলওয়ের পূর্ব জোনের কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল এলাকায় অপারেটিং রেলস্টেশনের সংখ্যা ১৭০টি। এর মধ্যে ৫৭টি স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, ৩৭টি রেলস্টেশন অব্যাহত লোকসানসহ নানা জটিলতায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ১৭ স্টেশন অস্থায়ী বন্ধের কথা জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের এই কর্মকর্তা জানান, স্থায়ী বন্ধ বলতে কোন ট্রেনই স্টেশনে থামে না। অস্থায়ী বন্ধ বলতে বোঝায় একটি দিনের কোন না কোন শিফট চলে। অর্থাৎ দিনের কোন নির্দিষ্ট সময় ট্রেন থামার কথা বলেন তিনি। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দেশের ৪৪ জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। সারাদেশে মোট রেললাইনের পরিমাণ দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে নতুন করে স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে ২২টি। পুনর্বাসন ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে ১২০টি। স্টেশন আছে ট্রেন থামে না ॥ স্টেশন আছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সবই ঠিকঠাক। যাত্রীও প্রচুর। কিন্তু ট্রেন থামে না। প্রায় এক দশক ধরে দেশের মোট ৪৫৩টি রেলস্টেশনের মধ্যে ১১৪টি এখনও বন্ধ হয়ে আছে। অনেক এলাকার বাসিন্দারা স্টেশন চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলনও চালিয়ে আসছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিলেও দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা এসব স্টেশন চালুর বিষয়ে জোরালো কোন উদ্যোগ নেই। তাছাড়া রেল উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যানেও বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। আবার লোকবল সঙ্কটে প্রায়ই অনেক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৩০০Ñ৪০০ কিলোমিটার রেলপথ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এক দশক আগে যারা রেলের সুবিধা পেতেন তাদের অনেকেই এখন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আবার স্টেশন সুপার ও মাস্টারের সঙ্কটের কারণে আংশিক বন্ধ আছে প্রায় অর্ধশত রেলস্টেশন। স্টেশন বন্ধ থাকায় একদিকে যাত্রীরা যেমন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লোকবল-স্বল্পতার কারণে গত ২০০৮ সালে ১৬টি, ২০০৯ সালে ২৬টি এবং ২০১০ সালে ৩৪টি স্টেশন বন্ধ করা হয়। গত ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬০টি স্টেশন বন্ধ ছিল, বর্তমানে আরও ৩Ñ৪টি স্টেশনের মাস্টার অবসরে গেলে বন্ধ স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪টিতে। এর মধ্যে কিছু স্টেশন সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা হয়েছে। রেলসূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে মোট ৪৫৩টি রেলস্টেশন রয়েছে। বন্ধ স্টেশনের মধ্যে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। রেলওয়ের লালমনিরহাট ও পাকশী বিভাগে প্রায় শতাধিক স্টেশন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। আংশিক ও এক বা দুই শিফট করে বন্ধ রয়েছে ১০Ñ২০টি স্টেশন। এসব স্টেশনের অধিকাংশই মাস্টার সঙ্কটের কারণে চালু করা যাচ্ছে না বলে জানা যায়। রেলওয়ের পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৮০টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এছাড়া লালমনিরহাট ডিভিশনে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলো হচ্ছেÑ কাঞ্চিপাড়া, আনন্দবাজার, ভরতখালী, নশরতপুর, অন্নদানগর, মন্মথপুর, চৌধুরানী, কিসমত, রুহিয়া, নয়নীগুরুজ, পাঁচপীর মাজার, বালাবাড়ি, টগরাইহাট, সিঙ্গার ডাউরিহাট, শহীদ বোরহাননগর, সুলতানপুর স্কুল, বাজনাহার, রমনাবাজার ও রাজারহাট। এছাড়া লালমনিরহাট বিভাগে প্রায় ২০টি স্টেশন আংশিক বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেÑ বুড়িমারী, পাটগ্রাম, আদিত্যমারী, সেতাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ভোমরাদহ, শীবগঞ্জ, রুহিয়া, পঞ্চগড়, বাদিয়াখালি রোড, মঙ্গলপুর ও বালাসীঘাটসহ একাধিক রেলস্টশন মাস্টারের অভাবে অপারেটিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাকশী ডিভিশনের ফুলতলা, চেংগুটিয়া, রূপদিয়া, যশোর ক্যান্টনমেন্ট, মেহেরুন্নেসানগর, জয়রামপুর, মোমিনপুর, মুন্সীগঞ্জ, ইয়াসিনপুর, শাহাগোলা, তিলকপুর, বেলাইচড়ি, দারোয়ানি, মির্জাগঞ্জ, ঝিকরগাছা, নাভারন, নন্দনগাছি, নাচোল, জগতি, চড়াইকোল, মাছপাড়া, বেলগাছি ও পাঁচুরিয়া বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এছাড়া পাকশী ডিভিশনে আংশিক বন্ধ রয়েছেÑ মালঞ্চি, জামালগঞ্জ, হিলি, মিরপুর, সবলনগর, সিতলাই, কাঁকনহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুরসহ বেশ কয়েকটি স্টেশন। অপরদিকে, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ৫৪টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ১৭টি। ঢাকা বিভাগে বন্ধ স্টেশনের মধ্যে লস্করপুর স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে ২০০৩ সাল থেকে। এছাড়া ঢিলাগাঁও এবং খাজাঞ্চিগাঁও স্টেশন দুটি ২০০৯ সাল থেকে, ইটাখোলা, ভাটেরাবাজার, আফজালাবাদ, বাইগনবাড়ি স্টেশনগুলো সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে ২০১০ সাল থেকে, কালিকাপ্রসাদ, মোশারফগঞ্জ, সুতিয়াখালী স্টেশনগুলো ২০১১ সাল থেকে এবং বাউসি, ইজ্জতপুর, ঠাকুরাকোনা, বিসকা ও নীলগঞ্জ স্টেশন ২০১৩ সাল থেকে বন্ধ। চালু হলো না ‘বাংলা’ রেল স্টেশন ॥ প্রায় দুই দশক ধরে বন্ধ রয়েছে নেত্রকোনার ‘বাংলা’ রেল স্টেশনটি। এক সময়ে অব্যাহত লোকসান ও জনবল সঙ্কটের কারণে স্টেশনটি বন্ধ হয়। নেত্রকোনা জেলা শহর থেকে মোহনগঞ্জ যেতে অর্থাৎ চার কিলোমিটার দূরত্বে এই স্টেশনটি অবস্থিত। বাংলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ভাটি বাংলার রাজধানী হিসেবে খ্যাত মোহনগঞ্জ। এর মধ্যে ঠাকুরাকোনা, বারহাট্টা, অতিথপুর ও মোহনগঞ্জ এই চারটি রেলস্টেশন রয়েছে। এই স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে কাছাকাছি এসব গন্তব্যের যাত্রী সবচেয়ে বেশি। অপরদিকে ময়মনসিংহ ও ঢাকারও যাত্রী রয়েছে। সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর কাছে স্টেশনটি চালুর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। যদিও স্টেশনের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণ হয়েছে দুই বছরের বেশি। আশপাশের বন্ধ থাকা অন্তত আরও তিনটি রেলস্টেশন এক বছর ধরে চালু হয়েছে। অথচ এক অদৃশ্য কারণে বাংলা রেলস্টেশনটি চালু করা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা-২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কাছে স্টেশনটি চালু করতে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। ঢাকার নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে জেলার রেল যোগাযোগের উন্নয়নে রেলমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাত করে বাংলা স্টেশনটি চালুর অনুরোধ জানানো হয়। মুজিবুল হক এ বিষয়ে বারবার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই করেননি। অথচ মাত্র দুইজন জনবল নিশ্চিত করা গেলেও এলাকার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ সম্ভব।
×