ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ

পাকি স্পিন-আতঙ্কে জিম্বাবুইয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৩ অক্টোবর ২০১৫

পাকি স্পিন-আতঙ্কে জিম্বাবুইয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুইয়ে অধিনায়ক এলটন চিগম্বুরা বলেছিলেন, ভারত সিরিজের নৈপুণ্যে আত্মবিশ্বাসী তার দল। যেখানে প্রথম ওয়ানডেতে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জিম্বাবুইয়ে জিতেছিল দ্বিতীয় টি২০তে। অথচ মাঠের লড়াইয়ে বদলে গেছে দৃশ্যপট। টি২০ সিরিজে ২-০তে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ১৩১ রানের বিশাল হার। ২৬০ রানের টার্গেটে নেমে স্বাগতিকরা অলআউট ১২৮ রানে। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পথে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ, শোয়েব মালিক ৩ ও ইমাদ ওয়াসিম ১। অর্থাৎ জিম্বাবুইয়ের সব ব্যাটসম্যানের প্রাণ বধ করেছেন পাক-স্পিনাররা! তিন ম্যাচের সিরিজে টিকে থাকতে আজ দ্বিতীয়টিতে তাই জিততেই হবে এলটন চিগম্বুরাদের। ঘুরে দাঁড়াতে প্রতিপক্ষের স্পিন-সামলানোকেই বড় করে দেখছেন জিম্বাবুইয়ে অধিনায়ক। ‘ঘরের মাটিতে, চেনা কন্ডিশনে পাকিস্তানের স্পিন পড়তে না পারা সত্যি হতাশার ব্যাপার। শুরুতে আমাদের বোলিং খারাপ হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইয়াসির আর মালিকের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের স্পিনের বিপক্ষে ভাল ব্যাটিং করতে হবে, যেমনটা ভারত সিরিজে করেছিলাম। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে হবে।’ বলেন জিম্বাবুইয়ে অধিনায়ক চিগম্বুরা। পাক স্পিনের সামনে এক অর্থে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিকরা। খেলতে পেরেছে মোটে ৩৭ ওভার। সর্বোচ্চ ২৬ রান শন উইলিয়ামসের। ইয়াসিরের বোলিং ফিগার ৯-০-২৬-৬! এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন সেনসেশনাল লেগস্পিনার। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে কোন স্পিনারের ওয়ানডেতে এটাই সেরা বোলিং। একদিনের ম্যাচে স্পিনারদের এর চেয়ে ভাল বোলিং মাত্র পাঁচটি। ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন কেবল শহীদ আফ্রিদি ও মুত্তিয়া মুরলিধরন। সব মিলিয়ে ওয়ানডের ইতিহাসে ম্যাচে ৬টি করে উইকেট নেয়ার দশম ঘটনা এটি। পাকিস্তানের হয়ে ইয়াসিরের সামনে কেবল আফ্রিদিই। অভিজ্ঞ মালিকের বোলিং বিশ্লেষণ ৭-০-৩০-৩। ওয়ানডেতে ইনিংসের সবক’টি উইকেট স্পিনারদের নেয়ার মাত্র ষষ্ঠ নজির এটি। ওয়ানডে শুরুর আগে দুই ম্যাচের টি২০তে সর্বাধিক ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন তরুণ বাঁহাতি অফস্পিনার ইমাদ। স্পিন নিয়ে চিগম্বুরার বিচলতি হওয়া তাই স্বাভাবিক। আত্মবিশ্বাসী ইয়াসির আজও ভাল করতে চান। তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা আমাকে পড়তে পারেনি। এটা ঠিক ওয়ানডেতে প্রতিদিন ৬ উইকেট আসবে না। প্রথম ম্যাচে নিজের বোলিংয়ে খুশি আমি। লক্ষ্য থাকবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে পোড়া। এখানকার নৈপুণ্য আমাদের ইংল্যান্ড সিরিজে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’ অধিনায়ক আজহার আলি আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান। তিনি বলেন,‘শুরুতে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। উইকেটের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মোহাম্মদ রিজোয়ান (৭৫*) আর ইমাদের (৬১) প্রশংসা করতে হয়। সরফরাজ আহমেদ (৪৪) আর মালিকও (৩১) দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছে। এই উইকেটে স্কোর বোর্ডে ২৫৯ রান জমা হওয়ার পর ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ইয়াসির বাকি কাজটা করে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা।’
×