ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

লন্ডনী দাওয়াই এবং আগামী দিনের বিএনপি

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৪ অক্টোবর ২০১৫

লন্ডনী দাওয়াই এবং আগামী দিনের বিএনপি

বিএনপির অবস্থা এখন সাগরে ভাসমান হাল ও পালহারা তরীর মতো। কোন্ দিকে গিয়ে কোথায় ভিড়বে সেটি বিএনপির বড় নেতারাও জানেন না। তাই বাইরে থেকে সেটা জানা-বোঝা আরও কষ্টকর। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকা- পর্যালোচনা করলে আমার এই মতামতের যথার্থতা পাওয়া যায়। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে সংসদের বিরোধী দল হিসেবে বিরোধীদলীয় উপনেতা কে হবেন, এই ছোট্ট একটি সিদ্ধান্ত বিএনপি পাঁচ বছরেও নিতে পারেনি। গত প্রায় তিন-চার বছর ধরে দলে কাজ করছেন একজন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। সম্প্রতি কয়েকজন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যের গোপন কথোপকথন ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চরম হতাশার কথা মানুষ জেনেছে। নির্বাচনের সময় সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠন সম্পর্কে আলোচনার জন্য ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করলে বেগম জিয়া ভয়ঙ্কর রাগ ও ক্রোধের বহির্প্রকাশ ঘটান। তারপর ২০১৫ সালের শুরুতে মার্চ ফর ডেমোক্র্যাসি নামক কর্মসূচীতে পুলিশী বাধার মুখে প্রচ- রাগান্বিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশের একটি জেলাকে নাম নিশানাহীন করে দেয়ার হুমকি দেন প্রকাশ্যে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে। দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির কোন সিদ্ধান্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দিন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ আরোপের মতো ভয়ঙ্কর কঠিন কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। এই অপরিপক্ব কর্মসূচীটি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও প্রত্যাহার করা না হলেও, সঙ্গত কারণেই তার স্বয়ংক্রিয় অপমৃত্যু ঘটেছে। রাজনীতি ও কূটনীতিতে ক্রোধের কোন স্থান নেই। ক্রোধান্বিত ব্যক্তির কাছে শাস্ত্রজ্ঞান বৃথা। একটি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন ক্রোধ জনসমক্ষে প্রকাশ করে, তখন বুঝতে হবে তিনি নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলার মতো যুক্তির ভা-ার শূন্য হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া সাজানো বিবৃতি টাকার মাধ্যমে পত্রিকায় ছাপানো এবং ভারতের বিজেপি নেতা অমিত শাহের মিথ্যা টেলিফোনের খবর প্রকাশ করার মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। দেউলিয়াত্ব আরও প্রকট আকারে ধরা পড়ে, যখন দেখা যায় ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাত বাতিল করলেও পরবর্তীতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটু দেখা করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া হোটেল পর্যন্ত ছুটে যান। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অভিযোগ বেগম খালেদা জিয়া যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সবিনয়ে পেশ করেন তখন দেউলিয়াত্বের মাত্রা সীমা অতিক্রম করে। দলের এই রকম একটি অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গেছেন ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে শলাপরামর্শ করার জন্য। তাই মানুষ বুঝতে চেষ্টা করছে লন্ডনী দাওয়াই বিএনপির জন্য আগামী দিনে কতখানি সুফল দেবে। কারণ, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে তারেক রহমানের ক্রেডেনশিয়াল বা পূর্ব রেকর্ড কোন আশাব্যঞ্জক কথা বলে না। বাংলাদেশের আইনের চোখে তারেক রহমান একজন পলাতক আসামি। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে কৃত অপরাধের দায় স্বীকার করে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন যে, তিনি আর কোনদিন রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় বা ক্ষমতার করিডরে থাকেন, সব সময়েই তাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা, এদের বড় অংশ দুর্নীতি-মহাদুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত শতকের নব্বই দশকের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয়ই এক দলের পর আরেক দল দু’বার করে ক্ষমতায় তাকলেও কেউ কিন্তু অন্যপক্ষের রাজনীতিক-ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম বেগম খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক ও কোকো। দু’জনই দুর্নীতির দায়ে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের আদালতেই নয়, তারেক যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে এবং কোকো মালয়েশিয়ার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সুতরাং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যুক্তি এবার আর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। ২০০৮ সালে ওয়াশিংটনে প্রেরিত এক গোপন তারবার্তায় তারেক রহমানকে ংুসনড়ষ ড়ভ শষবঢ়ঃড়পৎধপু বা চৌর্যবৃত্তির প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টি। বর্তমান সময়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের রাজনীতির চাকা শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর বা উপাদানের ওপর ভিত্তি করে চলে না। ৯/১১-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক পরিবর্তন, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ২০১০ সালে ঘোষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের নতুন সামরিক নীতি, চীনকে মোকাবেলার জন্য ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরতা, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে ভারতের চরম তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং চীনের চলমান স্ট্র্যাটেজিক ও নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি সবকিছু বাংলাদেশের ওপর যে প্রভাব ফেলছে, তার সঙ্গে কোনক্রমেই বিএনপি নিজেদের মেলাতে পারছে না। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ও নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন ব্যতিরেকে বিশ্ব ব্যবস্থার এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বিএনপির পক্ষে সম্ভব হবে না। সুতরাং আজকের এই হাল ও পালহীন অবস্থায় বিএনপির রাজনীতির কম্পাস তারেক রহমানের কাছে থাকলে দেশ-বিদেশের সংশ্লিষ্টদের কাছে কি বার্তা যাচ্ছে, তা বোঝার মতো নেতা বিএনপিতে আছে। তাই সেদিকে না গিয়ে বরং দেশের মানুষ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী দিনে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিএনপির স্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে, তার ওপর সামান্য আলোকপাত করি। এক. জামায়াত, হেফাজত ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গীবাদী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক এখন যে রকম আছে, সে রকমই থাকবে, নাকি তারা নতুন কোন চিন্তা করবে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠনগুলোর প্রতি আগামীতে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে, সে প্রশ্ন। কারণ ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপির এই জোট সঙ্গীদের সরাসরি সমর্থনে দেশব্যাপী ভয়ানক জঙ্গী উত্থান ঘটে। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। দেশব্যাপী মসজিদ, গির্জা, আদালত প্রাঙ্গণ গ্রেনেড-বোমা হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনেক আগেই বিএনপিকে বলেছে জামায়াত ছাড়তে। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ছাত্র শিবিরকে বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই ইস্যুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি, যেখানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমভাবে উদ্বিগ্ন। দুই. ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোডমার্চ শেষের জনসভায় এবং ২০১১ সালের তিন ডিসেম্বর মওদুদ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবি জানান। চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খোন্দকার মাহবুব হোসেন শুধু বাতিল নয়, বলেছেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এখন বিচারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন, তাদের বিচার করা হবে। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান দেশের মানুষ স্পষ্ট করে জানতে চায়। তিন. ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১-২০০৬ মেয়াদে স্বাধীনতা যোদ্ধা বলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সহায়তায় সব রকম সহযোগিতা ও সমর্থন দেয়। এই ইস্যুতে আগামী দিনে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে, সেটা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বলয়ের সমীকরণ নির্ণয়কারীদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। চার. সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সকল অনুচ্ছেদ ও উপ-অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে তারা কি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া পঞ্চম সংশোধনীর বিষয়গুলো আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে কিনা? বিএনপি যখন জিয়ার আদর্শের রাজনীতির কথা বলে, তখন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে। কারণ, পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জিয়ার আদর্শ বলতে আর কিছু নেই। উপরোক্ত বিষয়গুলো পরিষ্কার না করে শুধুমাত্র লন্ডনী দাওয়াই নিয়ে বিএনপি মাঠে নামার চেষ্টা করলে সেটি জনসমর্থন পাবে না। বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক দল। তাই অনিয়মতান্ত্রিক, ভায়োলেন্ট ও হঠকারী কর্মকা- তাদের সর্বদাই পিছু টানবে। বিগত দিনে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির মতো কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত ও কর্মকা-ে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতার পারদ ভীষণভাবে পড়ে গেছে, একেবারে হিমাঙ্কের নিচে। ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের নামে বিএনপি ব্যাপক সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে চেয়েছিল। এ সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়ার গোপন নির্দেশনা ইউটিউবের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় এবং সেই নির্দেশনার কথোপকথন এ বছর ৩০ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রচারিত একটি দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞে শরিক হওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তৃতীয়ত, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির দ-কে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবিরের জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দেয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে। তারপর এ বছরের শুরুতে অবরোধের নামে এক নাগাড়ে তিন মাস বিএনপি যে কর্মকা- করেছে, তার ব্যাকলাশ বিএনপিকে আরও বহুদিন বহন করতে হবে। সুতরাং এই লেগেসির প্রেক্ষাপটে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন ব্যতিরেকে পুনরায় মাঠে নামার চেষ্টা করলে তাতে বিএনপির খুব একটা লাভ হবে, তেমনটা মনে হয় না। তারপর মাঠে নামার মতো যুতসই ইস্যু বিএনপির হাতে আছে কি? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি বলে দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, এমন যুক্তির গ্রহণযোগ্যতা এখন আর নেই। অন্যান্য বহু গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক উপাদানের ঘাটতি আছে। তবে আন্তর্জাতিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ জরিপ, যেটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র দিবসে প্রকাশিত হয়েছে, সে অনুযায়ী এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অল্প হলেও এগিয়েছে, পিছিয়ে যায়নি। মধ্যবর্তী একটা নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বর্তমান সময়ের চাইতে আরও বেশি মাত্রার গণতন্ত্র বিএনপি ফিরিয়ে আনবে, এমন কথা বোধ হয় শিশু এবং পাগলেও বিশ্বাস করে না। জন সমর্থনের দিক থেকে বিএনপি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তাই মানুষের প্রত্যাশা, বিএনপি জামায়াত ত্যাগ করুক, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক দল হিসেবে শুধু মুখে নয়, কাজেও মুক্তিযুদ্ধের দর্শনে ফিরে আসুক। তাই লন্ডনী দাওয়াই ও তার স্বরূপ দেখার আগ্রহ ও কৌতূহল দুটোই মানুষের আছে। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×