ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

জাপা এমপি হান্নানসহ ৪ জন জেলে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৫ অক্টোবর ২০১৫

জাপা এমপি হান্নানসহ ৪ জন জেলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলার মোট আট আসামির বিরুদ্ধে ১৭ নবেম্বর তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। অভিযোগ (চার্জ) গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। রবিবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদসহ ৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ দুইজন ছাড়াও ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতারকৃত ডাঃ খন্দকার গোলাম সাব্বির ও মিজানুর রহমান মিন্টুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে অপর আসামি হরমুজ আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়ার পথে তাকে বহনকারী পুলিশের গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়লে আহত হন তিনি। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে হাজির করা যায়নি। বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেফতার হয় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেফতার হয় বাকি তিনজন। পলাতক তিন আসামির পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শুক্রবার ট্রাইব্যুনাল বন্ধ থাকায় চার আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার ট্রাইব্যুনালে আট আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে তিন মাসের সময়ে আবেদন জানান প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। তিনি শুনানিতে জানান, আসামির বিরুদ্ধে গত ২৮ জুলাই থেকে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। ট্রাইব্যুনালে আরও ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল এবং আসামি ডাঃ খন্দকার গোলাম সাব্বিরের আইনজীবী কুতুবউদ্দিন আহমেদ। বাকি আসামিরা যে কোন সময় পছন্দমতো আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন বলে ট্রাইব্যুনাল জানালে তারা জানান, তারা আইনজীবী দেবেন। কিশোরগঞ্জের ৫ রাজাকার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন আগামী ১২ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। একই মামলার ওই পাঁচ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ। পলাতক চারজন হচ্ছে শামসুদ্দিনের সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম। আসামি এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আইনজীবী এম আতিকুর রহমান তার পক্ষে আইনী লড়াইয়ে অসম্মতি জানালে আব্দুশ শুকুর খানকে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। আব্দুশ শুকুর খান এ মামলায় পলাতক অপর চার আসামিরও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। নিয়োগ পেয়ে আব্দুশ শুকুর খান ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামি শামসুদ্দিনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান।
×