ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম ওয়ানডেতে ২০ রানে জয়ী পাকিস্তানী মেয়েরা

ওয়ানডেতেও হার দিয়ে শুরু সালমাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৫ অক্টোবর ২০১৫

ওয়ানডেতেও হার দিয়ে শুরু সালমাদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজের দু’টি ম্যাচেই হারের পর দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও হার হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের। ২০ রানে হার হল সালমাদের। এ হারে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। এগিয়ে গেল পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দল। করাচিতে হওয়া এ ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তান আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪৯.৫ ওভারে ২১৪ রান করেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। বিসমাহ মারুফ একাই ৯২ রান করেন। সালমা খাতুন নেন ৩টি উইকেট। জবাবে ৫০ ওভার পুরো খেলে বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি। তাই হারও হয় নিয়তি। দলের পক্ষে রুমানা আহমেদ একাই ৭০ রান করেন। আনাম আমিন নেন ৩ উইকেট। পাকিস্তান ব্যাটারদের ভালই চেপে ধরেন বাংলাদেশ বোলাররা। সালমাতো দুর্দান্ত বোলিং করেন। কিন্তু এক বিসমাহকেই নড়বড়ে করা যায়নি। ৩৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেয়ার পর ৯৯ রানে গিয়ে পাকিস্তানের ৪ উইকেটের পতন ঘটানো গেছে। এরপর একেকটি করে উইকেট পড়তে থাকে, সঙ্গে রানও স্কোর বোর্ডে যুক্ত হতে থাকে। বিসমাহ ২০৮ রানে গিয়ে আউট হন। এরআগেই নাইন আবিদি ২৭, জাভেরিয়া খান ও নিদা দার ২১ রান করে ফেলেন। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরাও সমান তালে এগিয়ে চলেন। ৬০ রানে ৩ উইকেটের পতন ঘটে। এরপর একেক করে ভাল জুটির দেখা মিলে। তবে রুমানা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নিজেকে প্রমাণ করেন। একাই ৯৭ বলে ৪ চারে করেন ৭০ রান। ফারজানা হক ২৬, শামীমা সুলতানা ২৪ ও জাহানারা আলম ২৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হন বিসমাহ মারুফ। দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ শেষে রবিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়। প্রথম ওয়ানডে দিয়ে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়। দুটি টি২০ ম্যাচ বড় ব্যবধানে হারলেও প্রথম ওয়ানডেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে বাংলাদেশ। প্রথম টি২০তে ২৯ রানে হারের পর দ্বিতীয় ও শেষ টি২০’তে ৩৪ রানে হেরে সিরিজই হেরে যায় সালমা খাতুনবাহিনী। ২-০ ব্যবধানে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থ হন। প্রথম টি২০তে ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি২০তেও ভরাডুবি হয়। ১১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮০ রানের বেশি করা যায়নি। তবে ওয়ানডেতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। হার হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাপ মিলে। সেই সঙ্গে ব্যাটসম্যানরাও ভাল ব্যাটিং করেন। এরআগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের মধ্যে চারটি অফিসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচগুলোতে দুই দলের হার-জিত সমানে সমান। পাকিস্তান যেখানে জিতেছে দুটি ম্যাচে। বাংলাদেশও সমান সংখ্যক ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ২০১২ সালে দুই দলের মধ্যকার প্রথম অফিসিয়াল ওয়ানডে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে সেই ম্যাচে ৪২ রানে হারে বাংলাদেশ। এরপর একই স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হার হয়। তবে ২০১৪ সালে ভরাডুবি হয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশে খেলতে এসে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাকানি-চুবানি খায়। পরপর দুই ম্যাচেই হারে। যেন বাংলাদেশ ২০১২ সালের প্রতিশোধ নেয়। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দেয়। এবার পাকিস্তানও যেন প্রতিশোধ নেয়ার মিশনেই খেলছে। প্রথম ওয়ানডেতে জিতে সিরিজে এগিয়েও গেছে। স্কোর ॥ পাকিস্তান ইনিংস ২১৪/১০; ৪৯.৫ ওভার (বিসমাহ ৯২, আবিদি ২৭, নিদা ২১, জাভেরিয়া ২১, আসমাভিয়া ১৩, রাবিয়া ১২*, সিদরা ১২; সালমা ৩/৩১, লতা ১/২৫)। বাংলাদেশ ইনিংস ১৯৪/৯; ৫০ ওভার (রুমানা ৭০, ফারজানা ২৬, শামীমা ২৪, জাহানারা ২৩, লতা ১৬; আনাম ৩/২৫, বিসমাহ ১/১০)। ফল ॥ বাংলাদেশ ২০ রানে পরাজিত। ম্যাচ সেরা ॥ বিসমাহ মারুফ (পাকিস্তান)।
×