ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট ৫ বছর পর চালু

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৫ অক্টোবর ২০১৫

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট ৫ বছর  পর চালু

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তত্ত্বাধানে রবিবার থেকে এ পথে পণ্যবাহী বড় লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করেছে। বিআইডব্লিটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ড্রেজিং) এম ফরহাদ উজ জামান জানান, পরীক্ষামূলক চলাচল সফল হয়েছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না করার ফলে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ২০১০ সালে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিকল্প পথ হিসেবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল শুরু করে। চ্যানেলটি দিয়ে এখন প্রায় ১০ ফুট গভীরতার লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এ রুট দিয়ে ভারত থেকে আসা চার লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করে। ফরহাদ উজ জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করব বেশি ড্রাফটের জাহাজ চলাচলের জন্য চ্যানেলটি সচল রাখতে। তবে শীঘ্রই নৌপরিবহনমন্ত্রী এ চ্যানেলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন। ভারতের সঙ্গে নৌ-প্রটোকল রুটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ। মূলত মংলার পশুর নদীর সঙ্গে বলেশ্বর নদের ঘষিয়াখালী অংশে এটি সংযুক্ত হয়েছে। ওই নৌ-পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১ কিলোমিটার। ১৯৭৩ সালে দুই নদীর মাঝে ৬ কিলোমিটার নদী খনন করে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু প্রচুর বালি ও পলির কারণে প্রতিবছরই নৌ-পথটি ভরাট হতে থাকে। মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-পথটি বন্ধ থাকায় ভারত-মংলা-ঢাকা রুটের নৌ-যানগুলোকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে চলাচল করতে হয়। মংলা বন্দর থেকে পণ্য বহনকারী জাহাজগুলোকেও নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যাতায়াত করতে বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। একই অবস্থা হয় বাংলাদেশ-ভারতের নৌ-যানগুলোর ক্ষেত্রেও। এভাবে জাহাজ চলাচলের ফলে সুন্দরবনে শ্যালা নদী, মরা ভোলা ও ভোলা নদীতে তিন-তিনবার লাইটারের জাহাজ ডুবে বনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে। এলাকাবাসী জানায়, আন্তর্জাতিক প্রটোকলভুক্ত চ্যানেল সংলগ্ন প্রায় আড়াই শতাধিক সরকারী খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীরা মাছচাষ করায় চ্যানেলটি দ্রুত নাব্যতা হারায়।
×