ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সনদ ও নম্বরপত্র উত্তোলনে যবিপ্রবিতে বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৫ অক্টোবর ২০১৫

সনদ ও নম্বরপত্র উত্তোলনে যবিপ্রবিতে বাণিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়া সনদপত্র ও নম্বরপত্র সাময়িকভাবে ফেরত নিতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ৮ হাজার টাকা করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও অর্থ নেয়া হলেও এর বিপরীতে কোন রসিদ দেয়া হচ্ছে না। আর বিভাগে এই অর্থবাণিজ্যের বিষয়টি জানে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। যবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ ও নম্বরপত্র জমা নেয়া হয়। এই সনদ ও নম্বরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা থাকে। এই শিক্ষার্থীদের অনেকে পরবর্তী বছর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পদে বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদন করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়া সনদ ও নম্বরপত্র তাদের সাময়িকভাবে প্রয়োজন হয়। আর এই প্রয়োজনকে পুঁজি করেই অর্থবাণিজ্যে নেমেছে যবিপ্রবির কয়েকটি বিভাগ। এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কোন শিক্ষার্থী সনদ উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। একামেডিক কমিটির সিদ্ধান্ত এ টাকা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি দাবি করেন, সনদ জমা দিলে ওই টাকা ফেরত দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার জানান, বিভাগ থেকে এভাবে টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে যদি কোন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে থাকে তাহলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
×