ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা আজ থেকে শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৬ অক্টোবর ২০১৫

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা আজ থেকে শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভা আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। ৬ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এ সভা পেরুর রাজধানী লিমায় অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত বাজেট সহায়তার বিষয়টি এই সম্মেলনে চূড়ান্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনে আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ঋণ-সহায়তার পরিমাণও ঠিক করবে আর্থিক খাতের অন্যতম প্রধান এই দুটি সংস্থা। মূল সভা মঙ্গলবার থেকে অনুষ্ঠিত হলেও মূলত সোমবার থেকেই এর প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলনে এ দুই উন্নয়ন সংস্থার ১৮৮টি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ছাড়াও বেসরকারী খাতের নির্বাহী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ তারেক, অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দীন প্রমুখ। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অন্যান্য ঋণ সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার বিষয়টি এই সম্মেলনে চূড়ান্ত হতে পারে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এই দুই সংস্থার বার্ষিক সভায় চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। সে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। লিমায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। ২০০৭ সালের পর বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন বাজেট সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ। চীনের অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের ওপর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর কারণ হিসেবে তারা নির্দেশ করছেন, বাংলাদেশের রেমিটেন্সনির্ভর অর্থনীতি। তাই অন্যান্য এশিয়ান দেশের মতো চীনা ইউয়ানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুদ্রার মান কমানোর আগে আরও চিন্তাভাবনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা। বিশ্বের দ্বিতীয় এবং এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীন। কিন্তু গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মন্থর গতিতে চলছে চীনা অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ওপরও। পণ্যের রফতানি বাড়াতে সম্প্রতি চীন তাদের মুদ্রা ইউয়ানের মান কমানোয় তাদের সঙ্গে তাল মেলাতে ভারতসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশই মুদ্রার মান কমায়। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশের ওপর এর কোন প্রভাব পড়বে কি না? এক্ষেত্রে সরাসরি কোন প্রভাব না পড়লেও বিশ্ববাজারে রফতানির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশেরও মুদ্রার মান সমন্বয় করা উচিত ছিল বলে মনে করেন ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ। তবে রফতানি বাণিজ্যের চেয়েও দেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিশ্ব অর্থনীতির গতি পরিবর্তন বিশ্লেষণের পরামর্শ দিলেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ।
×