নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৫ অক্টোবর ॥ স্থানীয় বিআরটিএ অফিস থেকে লাইসেন্স দিচ্ছে না। এমন অভিযোগ এনে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ট্রাক শ্রমিকরা পার-নওগাঁ ট্রাক দালাল অফিস এলাকায় নওগাঁ-সান্তাহার প্রধান সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে নওগাঁ থেকে বগুড়া ভায়া ঢাকাগামী ট্রাক-বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাথার ওপর কড়া রোদ আর প্রচ- গরমে পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। বেলা ১টার দিকে পুলিশ সেখানকার ব্যারিকেড সরিয়ে যানচলাচল চালু করলেও অবরোধকারীরা তুলশীগঙ্গা ব্রিজের ওপর ট্রাক্টর দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ফের অবরোধ করে। ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড সৃষ্টি করায় পুরো সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পথচারীদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়ে স্কুল ফেরত ছাত্র-ছাত্রীরা। সৃষ্ট ভয়াবহ যানজটে কেজি স্কুলের শিশুদের যেন কষ্টের অন্ত ছিল না। স্কুল ভ্যানে বসে অবরুদ্ধ শিশুরা প্রচ- রোদ আর গরমে কাহিল হয়ে পড়ে। তাদের কান্নায় সেখানে এক দুঃসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে আটকেপড়া অটোরিক্সার কয়েক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, বিআরটিএ অফিস লাইসেন্স যাদি না দেয়, এবং তারা কেন দিচ্ছে না সে দায় বিআরটিএ অফিস এবং শ্রমিকদের।
প্রয়োজনে তারা সংশ্লিষ্ট অফিস চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ করুক। এতে সাধারণ মানুষ, পথচারী এবং বিশেষ করে কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীদের এই তীব্র রোদ আর গরমে ব্রিজ আটকিয়ে জিম্মি করে রাখার অধিকার কারও নেই।
বাড়তি টোল আদায় ॥ বিসিসি ঘেরাও
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, নগরীর প্রবেশমুখে সিটি টোলে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগে সোমবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন মিনি পিকআপ চালক ও শ্রমিকরা। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের সামনের সড়কে এলোপাতাড়ি মিনি-পিকআপ রেখে সড়ক আটকে দেয়া হয়।
ফলে সদর রোডের সঙ্গে লঞ্চঘাট ও চকবাজারে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাড়তি টোল আদায় বন্ধ করার আশ্বাস দেয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেয়া হয়। চালকরা জানিয়েছেন, নগরীর রুপাতলীতে সিটি টোল গেটে আগে নির্ধারিত টোল ছিল ৫০ টাকা। প্রতিদিন একটি গাড়ির ক্ষেত্রে এ টোল সিটির ভেতরে প্রবেশ বা বাইরে হতে একবার রাখা হতো। স¯প্রতি এ টোল বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়াও সিটির বাইরে ও ভেতরে প্রবেশ করাসহ যে কয়েকবার টোলগেটে পিকআপ যাবে সে কয়েকবারই টোল রাখা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে চালকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাও ঘটে।