ঠাকুরগাঁও ঝিনাইদহে দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৫ অক্টোবর ॥ অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত মেয়েটি। সুজন নামে এক বখাটে তাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। মেয়েটির বাবা অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। সুজন তার কয়েকজন বখাটে বন্ধুকে নিয়ে সারাদিন একটি বাসায় মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাতে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাট এলাকায়। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের খালিপুর গ্রামের কৃষকের মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৯টায় দোগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয়। পথে সুজন ও তার এক সহযোগী মেয়েটিকে জোর করে মোটরসাইকেলে তোলে লাহিড়ী হাট কালী মন্দিরের পিছনে একটি বাসায় নিয়ে তোলে। সেখানে মুখ, হাত-পা বেঁধে মেয়েটির শরীরে নিষ্ক্রিয় ইনজেকশন দেয় এবং সুজন ও তার কয়েকজন বখাটে বন্ধু সারাদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বখাটেরা শনিবার সন্ধ্যার পর চাড়োল ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এক সময় মেয়েটির গোঙানীর শব্দে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, মোবাইলে প্রেমে পড়ে ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলায় ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আট দিন আগে (গত ২৮ সেপ্টেম্বর) ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত কাউকে জানানো হয়নি। সোমবার দুপুরে হরিণাকুণ্ডু থানায় ওই শিক্ষার্থী নিজেই ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। হরিণাকু-ু থানার ওসি এরশাদুল কবির চৌধুরী জানান, ঝিনাইদহ শহরতলীর লাউদিয়া গ্রামের ময়না ম-ুলের ছেলে মাইক্রোবাস চালক খায়রুল ইসলামের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক খায়রুল ইসলাম ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে তাকে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর দাঁড়াতে বলে। তার কথা মতো ছাত্রীটি রাস্তার উপর গেলে সে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কালাপাড়িয়া গ্রামের রাস্তার পাশে মাইক্রোবাসের ভিতরে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যায়। ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।