ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে জয়ের বিকল্প নেই মাসুকদের

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ উজবেকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৬ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ উজবেকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ ম্যাচে ড্র করলেই গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা, হারলেও সমীকরণের মারপ্যাঁচে উতরানোর ক্ষীণ আশা! যাদের কথা বলে হচ্ছে- তারা বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ফুটবল দল। ২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। গ্রুপে চার দলের মধ্যে অবস্থান দ্বিতীয়। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্টে যারা শীর্ষে আছে, সেই উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে আজ স্বাগতিক বাংলাদেশ। এএফসি অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই দুই দলের ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। এর আগে একই ভেন্যুতে দুপুর তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে ভুটান বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি। যদিও ‘হোয়াইট উলভস’ খ্যাত উজবেকিস্তান শক্তির নিরিখে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তারপরও গাণিতিক হিসেবে তাদের হারিয়ে এখনও গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগটা আছে ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ খ্যাত বাংলাদেশের। তাদের হাতে এখন দুটি পথ খোলা আছে। ম্যাচটা ড্র করলে গ্রুপ রানার্সআপ হবার সুযোগ থাকছে। আর কোনমতে জিতে গেলেই কেল্লাফতে- তিন পয়েন্ট পেলে মোট পয়েন্ট দাঁড়াবে ৭, অবধারিতভাবে নিশ্চিত হয়ে যাবে চূড়ান্ত পর্বের ছাড়পত্র পাওয়াটা। তাই বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু জয়ের বিকল্প ভাবছেন না এই ম্যাচে। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে (২-০) প্রত্যাশিত শুভসূচনা করলেও পরের ম্যাচেই বাংলাদেশ হোঁচট খায় ভুটানের সঙ্গে ড্র (১-১) করে। অথচ এই দুই দলের সঙ্গে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে উজবেকদের সঙ্গে লড়াই করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সবকিছু গুবলেট হয়ে গেছে দুর্বল ভুটানের সঙ্গে এমন অপ্রত্যাশিত ড্রতে। সেই সঙ্গে পড়ে গেছে এক কঠিন এক পরীক্ষার সামনেও। আগের ম্যাচে জিততে পারলে উজবেকিস্তানের সঙ্গে অনেক কম চাপ নিয়ে খেলতে পারত টিটুর শিষ্যরা। কিন্তু এখন কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় না পেলে চূড়ান্ত পর্বের যাত্রাটা হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘এখন আমার দলের বর্তমান অবস্থা হচ্ছেÑ পাঁচ সেরা রানার্সআপের একটি হওয়াটা খুবই কঠিন। বিশেষ করে ভুটানের সঙ্গে হতাশাজনক ড্র করে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস টলে গেছে। আমি চেষ্টা করেছি তাদের উজ্জীবিত করতে। উজবেকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। তাদের হারানো কঠিন। তবে যাই ঘটুক, আমরা খেলব জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। ফুটবলে কিছুই অসম্ভব নয়। চেষ্টা করতে হবে। ম্যাচে যত কম ভুল করা যায়, সেদিকেই জোর দিচ্ছি বেশি। ম্যাচে ক’জন ফরোয়ার্ড খেলাব, সেটা বলতে চাচ্ছি না। খেলার সময়ই দেখবেন।’ এএফসির প্রতিটি টুর্নামেন্টেই পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হয়। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার পর তৃতীয় ম্যাচটায় স্বাভাবিকভাবেই একটু ক্লান্ত থাকবে সব দলই। সেটি বাংলাদেশের মধ্যেও থাকবে। তবে দলের কোচ মনে করছেন তার শিষ্যদের মধ্যে খুব একটা ক্লান্ত মনে হয়নি ভুটানের সঙ্গে। তাই আজও তেমন একটা সমস্যা হবে না। উজবেকিস্তান প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ভাসায় গোলবন্যায় (৭-০)। পরের ম্যাচে হারায় শ্রীলঙ্কাকে (৩-০)। এখনও তারা কোন গোল হজম করেনি এবং গোলও করেছে বাকিদের চেয়ে বেশি। উজবেকিস্তানের কোচ আব্দুরাইমভ জাসুর বলেন, ‘যদিও আমরা এ মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচটিকে অনেক গুরুত্বসহকারেই নিচ্ছি। তারা চাইবে হোম এ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগাতে। তবে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই খেলব। ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এই আসরে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ছয়বার অংশগ্রহণ করেছে। প্রথম ১৯৭৫ সালে, সর্বশেষ অংশগ্রহণ ২০০২ সালে। প্রতি আসরেই গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ১৯৮০ সালে। সেবার অবশ্য পাঁচটি দল লিগ পদ্ধতিতে খেলেছিল। সর্বোচ্চ ৪ ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করা বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। এ আসরের মূলপর্বে উজবেকরা মোটামুটি সফল দল। একবার হয়েছে রানার্সআপ। ২০০৮ সালে তারা সংযুক্ত আবার আমিরাতের কাছে ফাইনালে হেরেছিল ১-২ গোলে। এছাড়া তিনবার হয়েছে চতুর্থ স্থানের অধিকারী (২০০২, ২০১২, ২০১৪)।
×