ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে পণ্য পরিবহন সংস্থার আয় দেশে আনার সময় বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৭ অক্টোবর ২০১৫

বিদেশে পণ্য পরিবহন সংস্থার আয় দেশে আনার সময় বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদেশে পণ্য পরিবহনকারী সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রার (এফসি) আয় নিজ নামে খোলা হিসাবের মাধ্যমে দেশে আনার বাধ্যবাধকতার মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন্স এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনকারী সব অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে শিপিং লাইনস, এয়ারলাইনস ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এজেন্টদের বিদেশ থেকে অর্জিত আয় স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধে জানুয়ারি মাসে দেয়া এ সংক্রান্ত নির্দেশনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, পণ্য পরিবহনের ভাড়া ব্যতীত (এফওবি ভিত্তিতে) খোলা এলসির বিপরীতে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডাররা দেশীয় এজেন্টের অর্থ পরিশোধ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান পরে বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থ পেয়ে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রায় পাওয়া এ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজ নামে খোলা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব (এফসি এ্যাকাউন্ট) ছাড়া দেশে আনা যাবে না। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এজেন্টদের অনেকেই এফসি এ্যাকাউন্ট খুলতে না পারায় আরও ৩ মাস সময় দেয়া হলো বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে নিজ এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ আনার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৯শ’র মতো ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার রয়েছে। ইতোমধ্যে এর তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজ নামে এফসি হিসাব খুললেও অন্যরা খুলতে পারেনি। কিছু প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করে এ ধরনের হিসাব খুলতে হয়। যে কারণে ৬শ’র মতো প্রতিষ্ঠানের এফসি এ্যাকাউন্ট খুলতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
×