ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেলানি হত্যা মামলা ॥ দিল্লী সুপ্রীমকোর্টে ফের শুনানি শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৭ অক্টোবর ২০১৫

ফেলানি হত্যা মামলা ॥  দিল্লী সুপ্রীমকোর্টে ফের শুনানি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ বহুল আলোচিত ফেলানি হত্যা মামলার শুনানি মঙ্গলবার ভারতের দিল্লীর সুপ্রীমকোর্টে শুরু হয়েছে। বিএসএফের বিশেষ আদালত ফেলানির ঘাতক অমিয় ঘোষকে দুইবার নির্দোষ রায় দিলেও গত ১৪ জুলাই ফেলানির বাবার পক্ষে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ দেশটির সুপ্রীমকোর্টে মামলা দায়ের করে। ভারতীয় সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করেন। এছাড়াও রিটভুক্ত সকল পক্ষকে নোটিস দিয়েছেন এবং জবাব চেয়েছেন। ২৬ আগস্ট এ মামলার শুনানি হয়ে ৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে আদালত। ফেলানি হত্যা মামলা সম্পূর্ণ নতুন করে নতুন বিচারক প্যানেলে শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত সরকার। এ প্রতিশ্রুতির ফলে মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হয়। ফেলানির বাবা নূরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ আইন সালিশ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) কাছে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্যের আবেদন করলে মাসুম গত ১৪ জুলাই ভারতের সুপ্রীমকোর্টে একটি রিট দায়ের করে। এর মধ্যে গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানি হত্যাকা-ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি দিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেয়। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়। তিনি আরও জানান, ভারতের সুপ্রিমকোর্টে মেয়ের হত্যার ন্যায়বিচার না পেলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করবো। পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিঙ্কন জানান, প্রথম দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ মুখ্য সচিব ও বিএসএফের মহাপরিচালককে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দী দিতে বলেছে কোর্ট। যদি তারা উপস্থিত হয় তাহলে শুনানি হবে। আর ফেলানির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিতে প্রমাণিত হয়েছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ প্রকৃত দোষী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কাঁটাতার পার হওয়ার সময় কিশোরী ফেলানিকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ।
×