ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় পঞ্চাশ পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৭ অক্টোবর ২০১৫

ভালুকায় পঞ্চাশ পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ৬ অক্টোবর ॥ উথুরা ইউনিয়নের খোলাবাড়ী গ্রামে ৫০টি দিনমজুর পরিবারের তিন শতাধিক লোক স্থানীয় ভূমিদস্যুদের হুমকি ও উচ্ছেদ আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেনজেনা মৌজার বনবিজ্ঞপ্তিকৃত-৯৬,৯৭,ও ৯৮ দাগে তিন একর .৯৫ শতাংশ জমিতে দেড়শ’ বছর পূর্বে বংশপরম্পরায় জানু শেখ (গং) এর পরিবারের সদস্যরা বসবাস করে আসছে। ওই জমির মালিকানা দাবি করে শামছুদ্দিন স্থানীয় ভূমিদস্যুদের নিয়ে দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছে। রবিবার স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ওই পরিবারদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বসতবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। ভূমিদস্যুদের হুমকিতে পরিবারগুলো আতঙ্কিত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানু শেখের ছেলের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, আমার বিয়ার পর এই বসতভিটায় সংসার করে আসছি। কেউ কোনদিন জমি দখল করতে আসেনি। এখন শুনতাছি বসতবাড়ি ছাইড়া অন্যত্র চইলা যাইতে অইব। আঙ্গর (আমাদের) বসতবাড়ি আপনারা রক্ষা কইরেন বাবারা! জমির দাবিদার ছামছুদ্দিন জানান, ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা কারও জমি দখল করতে যাইনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক আলী জানান, দীর্ঘদিন যাবত পরিবারগুলো ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা, রুহুল আমিন জানান, ওই জমিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। কেউ দখল করতে এলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে রক্ষা পেল পুলিশ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে কলেজছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ার পর অবশেষে বিয়ে করে ছাড়া পেলেন পুলিশ কনস্টেবল। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পরানপুর গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ওই কনস্টেবলের নাম রাজু। তিনি উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের মাজদার রহমানের ছেলে এবং ঢাকায় পুলিশের দাঙ্গা বিভাগে চাকরি। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পরানপুর গ্রামের কলেজছাত্রীর সঙ্গে কনস্টেবল রাজুর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক। রাজু প্রায় ছুটিতে এসে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে রাতেই মীমাংসায় বসা হয়। তবে রাজু ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। ফলে প- হয়ে যায় বৈঠক। পরে এলাকাবাসী ছাত্রীসহ কনস্টেবল রাজুকে চারঘাট থানায় সোপর্দ করে। চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজুর। প্রেমের সূত্র ধরে দেখা করতে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে আটকে ফেলে। পরে রাজুর সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য তার পরিবারের লোকজন দাবি জানায়। তবে অভিমানে প্রথমে সে বিয়েতে অমত করলেও পরে রাজি হয়ে যায়। রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
×