ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে গুলিতে নিহত চার

সম্পূরক আরজি গ্রহণের দাবি ॥ ভিন্ন খাতে প্রবাহের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৭ অক্টোবর ২০১৫

সম্পূরক আরজি গ্রহণের দাবি ॥ ভিন্ন খাতে প্রবাহের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৬ অক্টোবর ॥ জেলার কালিহাতীতে ছেলেকে দিয়ে মায়ের শ্লীলতাহানিতে বাধ্য করার ঘটনা উঠে এসেছে, ভুক্তভোগী মায়ের বয়ানে। কিন্তু পুলিশ তা কৌশলে এড়িয়ে গেছে। এমনকি ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলার বিবরণেও রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্তদের বাঁচাতে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ এটি করেছে। শুধু তাই নয়, ন্যক্কারজনক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে যে চারজন নিহত হয়েছে, তার দায়ও চাপানো হয়েছে এলাকাবাসীর ওপর। তবে এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি ভুক্তভোগী সেই মায়ের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক আরজি যুক্ত করা হোক। জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঘটনা মীমাংসার কথা বলে রফিকুল ইসলাম রোমার বাড়িতে ডেকে আনা হয় রোমার স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক রাজমিস্ত্রি সেই ছেলে ও তার মাকে। বাড়িতে এনে তাদের ভয়ভীতি দেখান রফিকুল ও তার ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিন। মা ও ছেলেকে নগ্ন করে মারপিট করে তারা। এসবই প্রত্যক্ষ করেছে প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে হাফিজ উদ্দিন একটি ঘরে নিয়ে মা ও ছেলেকে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হতে বলে। মা ও ছেলে কাকুতি-মিনতি করলে ছেলেকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। রোমা ও হাফিজ মা-ছেলের গোপনাঙ্গ জোর করে স্পর্শ করায়। ছেলের গোপনাঙ্গ মায়ের মুখে নিতে বাধ্য করে। নিজের বিন্দু বিন্দু রক্তে গড়ে তোলা ছেলেকে বাঁচাতে গোপনাঙ্গ মুখে নিয়ে গোঙ্গাতে থাকে মা। এসব মর্মস্পর্শী ঘটনা প্রত্যক্ষ করে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে প্রতিবেশী নারী-পুরুষ। তারা পুলিশে খবর দেয়। ততক্ষণে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। পুলিশ এসে মা, ছেলে ও রোমাকে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর কয়েকজনও যায় থানায়। থানায় পুলিশ ও উপস্থিত এলাকাবাসীর কাছে ওই সময়ের ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছিলেন ওই নারী। কিন্তু এজাহারে মা-ছেলেকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ লেখা হয়নি। কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে মূল ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ বিষয়ে মামলা হলেও অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে পুলিশ। যে কারণে মামলার বিবরণ আর ভুক্তভোগীর বক্তব্যে বিস্তর পার্থক্য। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী, অভিযুক্তদের একজনের বাসায় ভাড়া থেকেছেন ওসি, তাই পুলিশ তাদের বাঁচাতে কাজ করেছে। ভালুকায় বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বাটারফ্লাই কোম্পানি নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ৬ অক্টোবর ॥ ভালুকা উপজেলার কাঁঠালীর বাটারফ্লাই ম্যানোফ্যাক্চারিং কোম্পানি লি. এ বেতন বৈষম্যের সমাধানের দাবিতে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকালে মিল গেটে বিক্ষোভ করেছে। মিলের শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠালীর বাটারফ্লাই ম্যানোফ্যাক্চারিং কোম্পানি লি. এর শ্রমিকরা বেতন বৈষম্যসহ মাস শেষে নির্ধারিত তারিখে প্রতি মাসের বেতন না পাওয়া, অসুস্থ জনিত কারণে ছুটি না দেয়া, কোম্পানির ভেতরে নামাজের কোন ব্যবস্থা না থাকায়, ৩ মাসের ইনক্রিমেন্ট না দেয়ায়, অভার টাইমের বেতন ২ থেকে ৩ মাস পর পর দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এদিকে মিল কর্তৃপক্ষ মিলের মূল ফটক বন্ধ করে শ্রমিকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে গফরগাঁও সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিত করে।
×