ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসএম মুকুল

শিক্ষকদের কাছে জাতির প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৮ অক্টোবর ২০১৫

শিক্ষকদের কাছে জাতির প্রত্যাশা

শিক্ষকরা ক্লাসে যেমন পড়াবেন, তেমনি বাইরেও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু এখন দেখা যায়, সামাজিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষকদের আগ্রহ দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক পরিবেশ-প্রতিবেশ এর জন্য অনেকাংশে দায়ী থাকলেও বলতেই হবে- মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিয়োগ পেয়ে লোভ ও ক্ষমতার মোহে পড়ে যেন শেষ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে শিক্ষক সমাজ। এই মোহের সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে। তারপরও এমন অপ্রত্যাশিত দুর্নামের কালিমা এড়িয়ে নীরবে সততার নিরহঙ্কার অবদান রেখেও যাচ্ছেন অনেক শিক্ষক। সমাজও তাদের সম্মান জানায় প্রতিক্ষণ। শিক্ষকরা সচেষ্ট হলে সমাজে পরিবর্তন আসবেই। শিক্ষকরা এই সমাজেরই মানুষ। তাদেরও খেয়েপরে সমাজে বসবাস করতে হয়। দুঃখ লাগে যখন শিক্ষকরা সমবেত হয়ে অনশন করেন তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করার জন্য। পুলিশ যখন লাঠিপেটা করে মহান এই জ্ঞানশিল্পীদের ওপর তখন লজ্জা লাগে! শিক্ষকরা বেতনের দাবি বা যোগ্য অথবা উপযুক্ত নাগরিক মর্যাদা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে যাবেন কেন? সরকারের উচিত শিক্ষকগণ যাতে সম্মানজনক জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যে শিক্ষক আলোকিত নাগরিক গড়ে তুলবেন, তার জীবন দৈন্যদশায় রেখে আলো ছড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে হবে। আর মেধাবীদের আনতে চাইলে শিক্ষকতা পেশাকে আরও আধুনিক এবং আকর্ষণীয় করার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে হবে। পৃথক বেতন কাঠামো, উৎসাহ বোনাস, রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের এসব দাবির সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু শিক্ষকদেরকেও সমাজের কাছে আদর্শের মডেল হিসেবে পরিগণিত হওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ঢাকা থেকে
×