স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংর্ঘষের জেরে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা এবং বিকেল ৪ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হলের ডাইনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে চতুর্থ ও পঞ্চমবর্ষের ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরা হলো-শিপন কান্তি বড়ুয়া, সাইদুর রহমান, বিজয় বড়ুয়া, আশেকুজ্জামান, তানভীর আলম, রাজেশ দেব ও বুদ্ধদেব দাস। তারা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্র জানায়, ডাইনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘ বাধে। কলেজের নতুন ছাত্রাবাসে (ডরমিটরি) লাঠি ও রড নিয়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। পরে কলেজের মূল ছাত্রাবাসে হামলা হলে তিনটি কক্ষ ভাংচুর হয়। ঘটনার পর পরই কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিএমএ নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার সকাল ১০ টায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা আহবান করা হয়। সভায় কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিদেশী শিক্ষার্থী ও ২য় বৃত্তিমূলক এমবিবিএস মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ের পরীক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব জানান, সংর্ষের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে কলেজ বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। আহত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ডাইনিং হলের ব্যবস্থাপনায় নতুন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের এক গ্রুপ তাতে বাধা দেয়। এর জেরে সংঘর্ষ হয়। তাদের অভিযোগ বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কলেজ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অসাংগঠনিকভাবে কার্যক্রম চলছে। আর নতুন কমিটি গঠনের দাবি ও কর্তৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
