ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রসায়নে নোবেল পেলেন তুরস্ক, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ অক্টোবর ২০১৫

রসায়নে নোবেল পেলেন তুরস্ক, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ তুরস্কের আজিজ সানকার, সুইডেনের টমাস লিন্ডহল ও যুক্তরাষ্ট্রের পল মড্রিখ চলতি বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন। বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে সংবাদ সম্মেলনে নোবেল কমিটি এ কথা জানিয়েছে। তাঁদের গবেষণার বিষয় ছিল কোষ কী কৌশলে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ সারিয়ে তোলে। জীবন্ত কোষের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। তুরস্কের আজিজ সানকার একজন বায়োকেমিস্ট এবং মলিকিউলার বায়োলজিস্ট। তাঁর গবেষণার বিষয় ডিএনএ মেরামতি। তিনি এখন ইউনিভার্সিটি ক্যারোলাইনার বায়োকেমিস্টি ও বায়োফিজিক্স বিভাগে কর্মরত আছেন। সুইডেনের বিজ্ঞানী টমাস লিন্ডহল বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট ও ক্লেয়ার হল ল্যাবরেটরির সঙ্গে যুক্ত আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী পল মড্রিখ নর্থ ক্যারোলাইনার হাওয়ার্ড হিউজ মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং একই অঙ্গরাজ্যের ডিউক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন টমাস লিন্ডহল নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘নোবেল পেয়েছি জেনে আমি আনন্দে অভিভূত, এই দিনটির অনেকের মতো বছরের পর বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। আজ আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’নোবেল কমিটির ক্লাস গুস্টাফেন বলেন, ‘পুরস্কার বিজয়ীরা প্রত্যেকেই মানবদেহে জিনবিষয়ক গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ এবং ফ্রি র‌্যাডিক্যালস নামে পরিচিত অণুর প্রভাবে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় পুরনো ভেঙ্গে নতুন কোষ তৈরি হওয়ার সময় ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএগুলোরও একই প্রতিরূপ তৈরি হতে থাকে। প্রতিটি জীবদেহে প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন লক্ষ কোটিবার সংগঠিত হচ্ছে। বিভাজনের সময় কোষ কিভাবে ডিএনএর বিকৃতি রোধ করে এই তিনজন তার পুরো প্রক্রিয়ার ছকটি তৈরি করেছেন। নোবেল পুরস্কার বাবদ ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার) তিন বিজয়ী ভাগ করে নেবেন।
×