নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর॥ কেশবপুরে বড়েঙ্গা সম্মিলনী বিদ্যাপিঠের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে। বুধবার সকালে স্কুলে আসার পথে ওই বিদ্যালয়েরই নবম শ্রেণীর ছাত্র লম্পট রনি তাকে জড়িয়ে ধরে। এ ঘটনায় বুধবার গভীর রাতে থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ লম্পট রনি এবং তার সহযোগি রকিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকার অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার মঙ্গলকোর্ট ইউনিয়নের মাগুরখালি গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক সরদারের মেয়ে বড়েঙ্গা সম্মিলনী বিদ্যাপিঠের সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। একই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র পার্শ¦বর্তী বড়েঙ্গা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে রনি হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যাক্ত এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বুধবার সকালে স্কুলে আসার পথে স্কুল সংলগ্ন মাগুরখালী বাজারে পোঁছলে বখাটে রনি প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর মুখে চুমু দেয়। এ সময় রনি ও তার সহযোগি রকি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অপহরন করে ধর্ষনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সালিশে বখাটে বসে এবং রনিকে ক্ষমা চাওয়ায়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু প্রতিবাদি ওই ছাত্রী সালিশের বিচার না মেনে নিজে বাদি হয়ে রনি হোসেন ও তার সহপাঠি মাগুরখালি গ্রামের আব্দুল হালিম গাজীর ছেলে রকি হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল যায় কিন্তু আসামীদের পাইনি। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৫, (০৭-১০-১৫)। ওসি জানান, নারী নির্যাতনের ঘটনায় কোন ছাড় দেয়া হবে না।
ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।