ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা ব্যারাজের বাঁধ সংস্কারে দুর্নীতি ॥ নির্বাহী প্রকৌশলী সহ ৪জন বরখান্ত

প্রকাশিত: ২১:২১, ৮ অক্টোবর ২০১৫

তিস্তা ব্যারাজের বাঁধ সংস্কারে দুর্নীতি ॥ নির্বাহী প্রকৌশলী সহ ৪জন বরখান্ত

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ পানি উন্নয়ন বোডের আওতায় সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া ডিবিশনের পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ চার জন কে চাকুরী থেকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলো নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফজলুল হক,সহকারি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও শাখা কর্মকর্তা(এসও) তোবারক আলী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরাঞ্চলের রংপুর পানি উন্নয়ন বোডের প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমার। তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোডের মহাপরিচালক ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে এদের চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই চার ব্যাক্তিকে চাকুরী থেকে বরখাস্তের বিষয়ে জানা যায় চলতি বছরের ১১ আগষ্ট দৈনিক জনকন্ঠের ১৫ পাতায় তিস্তা ব্যারাজের আরএসকিউ ও ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের কাজ না করেই কোটি টাকা ভাগাভাগি শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পানি উন্নয়ন বোডের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম এলাকা পরিদর্শন করেন। তদন্ত টিমের পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা মেলে। বিশেষ করে তিস্তা ব্যারাজের ভাটি ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডানতীর বাঁধ সংস্কার ও ভাঙ্গন রোধে ৪৫ সেন্টিমিটার মাপের সিসি ব্লক নির্মান বা স্থাপন না করে সেখানে ৩৫ সোন্টিমিটার মাপের সিসি ব্লক ব্যবহার করে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে কোটি টাকা আতœসাত করা হয়। এ ছাড়া একই প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কারে ১৬ কোটি টাকা ব্যায় দেখানো হয়। এই সব কাজের তদারকির প্রধান দায়িত্ব পালন করেন তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া ডিবিশনের পওর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফজলুল হক। তার উপস্থিতিতেই এইসব কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছিল। সুত্র মতে যেহেতু ওই কাজের সার্বিক দেখা শোনার দায়িত্ব পালনে ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান,সহকারি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও শাখা কর্মকর্তা(এসও) তোবারক আলী। সেহেতু একই কারনে তারাও এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় তদন্ত টিমের প্রতিবেদনে উক্ত চারজন কে চাকুরী থেকে সাময়িত বরখাস্ত করা হয় বলে সুত্রাটি নিশ্চিত করে।
×