রিপনের আলহামদুলিল্লাহ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার পাওয়ায় সারাদেশেই আনন্দের বন্যা বইছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জনে খুশিই হতে পারেনি বিএনপি। যখন ব্যর্থ প্রমাণের এত চেষ্টা তার মধ্যে এমন অর্জন? এ তো বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার মতো। তাদের এক পরামর্শক তো বলেই বসেছেন, এসব পদকবাণিজ্য। আর বিএনপির মুখপাত্র রিপন ঘাড় বাঁকিয়ে বললেন আলহামদুলিল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি আবার মনেও করিয়ে দেন দ্বিতীয় বাঙালী হিসেবে তিনি এ পুরস্কার পাওয়ায় তারা ‘খুশি’ হয়েছেন। দ্বিতীয় হোক, প্রথম হোক প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার বা অর্জন রাষ্ট্রের অর্জন। সেই অর্জনে সাধারণ জনগণের আনন্দিত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু রিপন বলছেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ পুরস্কার লাভ করায় আমরা খুশি। তবে আট বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিক পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমানও এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বাঙালী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এবার এই পুরস্কার পেলেন। আলহামদু লিল্লাহ, আমরা খুশি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর (ইউএনইপি) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এর আগে ২০০৮ সালে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর এ্যাডভান্স স্টাডিজ’র নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান জাতিসংঘের এই পুরস্কার পান।
সেনসেটিভ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, আবার বিরোধী দলের চেয়ারম্যান, যাদের আবার সরকারেও অংশিদারিত্ব রয়েছে। নিঃসন্দেহে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এক ব্যক্তির দুইদিকে টান থাকলে অনেক বিষয়কে সেনসেটিভ মনে হতেই পারে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ দাবি করেন, মানুষের জানমাল রক্ষায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের শরিক হিসেবে ব্যর্থতার দায় তার দল নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। সরকারের মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা আছেন এটা যেমন সত্য তেমনি জাতীয় পার্টি বিরোধী দল, এটাও সত্য। তাই এটা খুবই সেনসেটিভ প্রশ্ন। এর সঠিক উত্তর আমি দিতে পারব না। এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি আমরা বিরোধী দল, পার্টি গোছাচ্ছি। সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। জাস্ট ওয়েট, জাস্ট হ্যাভ টু ওয়েট। সময় হলেই মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসব।
এরশাদ বলেন, সরকার যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেনি, তারই প্রমাণ হচ্ছে ঈদের পরে সংঘটিত হত্যাকা-গুলো। এমনকি গত ৩ অক্টোবর রংপুরে দিনদুপুরে এক জাপানীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু দেশের সাধারণ মানুষই নয়, বিদেশীরাও নিরাপদ নয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
বিএনপির বেহাল সড়ক দশা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যার যা কিছু আছে তার মধ্যেই মন্তব্য ঘোরাফেরা করে। আমাদের প্রিয় সড়ক এবং সেতুমন্ত্রীর রয়েছে বেহাল সড়ক। কাজেই সব কিছুকে তিনি বেহাল সড়কের সঙ্গে তুলনা করছেন। এমনকি রাজনৈতিক দলকেও বলছেন বেহাল সড়ক। বিএনপিকে বেহাল সড়কের সঙ্গে তুলনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিরোধী দলের রাজনীতি করতে যে সাহসী ভূমিকা রাখার কথা সেই সাহস বিএনপির নেই। তারা ভয়কে জয় করতে পারেনি। এত বড় একটা দলের আজকে বেহাল সড়কের মতো অবস্থা হয়েছে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না, এটা ঠিক নয়; সঠিক হচ্ছে, বিএনপির রাজনীতি করার সাহস নেই। এত বড় একটা দল, অথচ ঢাকা শহরে ৫০০ লোক নিয়ে একটি মিটিং-মিছিল করতে দেখিনি।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: