ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালানোর দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২০:১০, ১০ অক্টোবর ২০১৫

কেশবপুরে ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালানোর দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর॥ কেশবপুরে ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালানোর দাবিতে শুক্রবার বিকেলে চালকরা শহরে বিশাল মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালানোর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ব্যাটারি চালিত ভ্যান থেকে মটর ও ব্যাটারি অপসারন করার নির্দেশ দেয়ায় মটরভ্যান শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেছে। তারা প্রধান সড়কসহ সর্বত্র মটরভ্যান চলাতে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হচ্ছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করে নির্বিঘেœ মটরভ্যান চলানেরা দাবি জানায়। শুক্রবার বিকেলে শত শত ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালকরা জড়ো হয়ে শহরে একটি বিশাল মিছিল বের করে। পরে কেশবপুর প্রেসক্লাব থেকে ত্রিমোহিনী মোড় চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে কেশবপুর পাবলিক মাঠে তারা এক সমাবেশ করে। এরপর মটরভ্যান চালকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানার ওসিকে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান চালকরা দাবি করেছে কেশবপুর একটি জলাবদ্ধ এলাকা। এখানকার মাঠে তেমন কোন কাজ নেই। ধার-দেনা ও ঋণ নিয়ে তারা ব্যাটারি ও মটর কিনে মটরভ্যান বানিয়ে চালাচ্ছে। যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের কেশবপুর অঞ্চলে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে তারা মটরভ্যান চালায়। এই পাঁচ কিলোমিটারে বাসে যাত্রি বহন করতে চায় না। আমরা মটরভ্যানে যাত্রি তুললে পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের মারধোর করে। রাস্তায় পরিবহন শ্রমিকরা ভ্যান প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা হারে চাাঁদা আদায় করে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদ মোমেন মজুমদার জানান, আমরা মটরভ্যান মেইন রোডে চালাতে নিষেধ করেছি। তাদের মেইন রোডে চলতে দেয়া হবে না। সম্প্রতি কেশবপুরসহ আশপাশে ব্যাটারি চালিত মটরভ্যান ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। শব্ধহীন এ যান কিছুটা জনপ্রিয়তা পেলেও ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রচুর বিদ্যুত ব্যয় হয়। এছাড়া শহরে যানজট ও সড়কে দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে এই মটরভ্যান চলাচলের কারনে।
×