ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব দৃষ্টি দিবস আজ

দেশে দেড় লাখ শিশু ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১১ অক্টোবর ২০১৫

দেশে দেড় লাখ শিশু ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি মিনিটে ১২ জন করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে এক শিশু। বাংলাদেশে ৭৫ লাখের বেশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিশু। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার প্রধান কারণ ছানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরোধযোগ্য শিশু অন্ধত্ব ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। একটু সচেতনতা, প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা রোধ করতে পারে শিশু অন্ধত্ব। দেশে বর্তমানে ৬ লাখ মানুষ কর্নিয়া সমস্যায় ভুগছে। আক্রান্তের তুলনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা অপ্রতুল। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। এ উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। চক্ষু পরিচর্যা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানের অভাব ও অসচেতনতার কারণে দেশের অনেক মানুষ চোখের নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে। অনেকে অন্ধত্ব বরণ করেছে। চোখের যতœ ও সেবার ওপর গুরুত্বারোপ করা অপরিহার্য। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক এনায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ০.৭৫ জন অন্ধত্বের শিকার। দেশে প্রায় ১৩ লাখ শিশু দৃষ্টিত্রুটি ও ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ’ শিশু ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে তাদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৩৩৬ জন এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, ছানিপড়া, গ্লকোমা, কর্নিয়া, পুষ্টিহীনতা ও বার্ধক্যজনিতসহ নানা কারণে মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। বিভিন্ন কারণে দিনের পর দিন চক্ষু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বুঝতেই পারছেন না যে, তিনি চক্ষু রোগে আক্রান্ত। ফলে দেশে অন্ধত্বের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে সময়মতো চিকিৎসা ও অপারেশন করা হলে ৮০ ভাগ অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব। সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে চক্ষু সমস্যা চিহ্নিত করা দরকার। অন্ধত্ব দূরীকরণ ও প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে চক্ষু সমস্যার চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। জ্ঞানের অভাব ও অসচেতনতার কারণে অনেক মানুষ চোখের নানা সমস্যায় ভুগছে এবং অনেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছেন বলে জানান অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ছানি রোগী যোগ হচ্ছে। ফলে অন্ধত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের চোখে স্বচ্ছ একটি লেন্স বা দর্পণ রয়েছে। যার ভেতর দিয়ে আলো গিয়ে চোখের পেছনের রেটিনায় বা দৃষ্টি সংবেদনশীল অংশে গিয়ে পড়ে এবং দৃষ্টির অনুভূতি তৈরি হয়। কাচ যেমন অস্বচ্ছ হয়ে গেলে আর কাচের ভেতর দিয়ে কোন কিছু দেখা যায় না, তেমনি চোখের লেন্স যদি অস্বচ্ছ হয়ে যায়, চোখের দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। ছানিরোগ হলো বাংলাদেশের রিভারসিবল বা নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের প্রধান কারণ। বয়সজনিত লেন্সের গঠনগত পরিবর্তন হলো ছানিরোগের প্রধান কারণ। শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে বিএনসিসি প্রতিনিধি দল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য হারম্যান লস এ্যান্ড ডি জয়সা ট্রফি কম্পিটিশন ক্যাম্প উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) প্রতিনিধি দলকে শ্রীলঙ্কা সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা এ উপলক্ষে চলতিমাসে শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। সফরসূচী অনুযায়ী বিএনসিসির কর্মকর্তা ও ক্যাডেটগণ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, চীফ অব ডিফে›স স্টাফ, সেনাপ্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। এছাড়া তারা শ্রীলঙ্কার সামরিক একাডেমি এবং অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন ও সার্কভুক্ত দেশসমূহের ক্যাডেটদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামী ২০ অক্টোবর প্রতিনিধি দলটি ফিরবে। -আইএসপিআর
×