ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুলিবর্ষণ ও যুবক হত্যা

লালমনিরহাট সীমান্তে পতাকা বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ বিজিবির

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১১ অক্টোবর ২০১৫

লালমনিরহাট সীমান্তে পতাকা বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ বিজিবির

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১০ অক্টোবর ॥ লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণ ও যুবক রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত আদিতমারীর দুর্গাপুর ইউনিয়নের চওড়াবাড়ির ৯২৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে ফলপ্রসূ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুচবিহার ২১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট রমেশ রাম। বৈঠকে বিজিবি এই গুলিবর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেইসঙ্গে একটি লিখিত প্রতিবাদপত্র পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর করে। বৈঠক শেষে ১৫ বিজিবির অধিনায়ক জানান, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষে পদস্থ কর্মকর্তাগণ বৃহস্পতিবারের চওড়াবাড়ি গ্রামে বিএসএফের গুলিবর্ষণ ও একজন নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করবে বলে পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সীমান্তে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে উভয়পক্ষ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবেন। রহিমের লাশ নিয়ে স্বজনের মাতম ॥ শুক্রবার রংপুরের বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জুফিকার আলী বিএসএফের হামলাস্থল চওড়াবাড়ি গ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী, উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মানুদুর রহমানসহ বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আদিতমারী থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ আব্দুস সোবাহান জানান, রংপুরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে নিহত আব্দুর রহিমের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুরো গ্রামটিতে মাতম শুরু হয়। স্বজনরা বিলাপ করতে করতে বলেন, অপরাধ না করেও বিএসএফের গুলিতে মরতে হলো রহিমকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুচবিহার ২১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বাংলাদেশের প্রায় পাঁচশ’ গজ ভেতরে ঢুকে গ্রামে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এই সময় মহিলাসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। আব্দুর রহিম (৩৪) নামে একজন মারা যায়। বিএসএফ চারটি গরু ধরে নিয়ে যায়।
×