ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুইজারল্যান্ড ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সান মারিনোকে

ইংল্যান্ডের টানা নবম জয় ইউরো বাছাইয়ে

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১১ অক্টোবর ২০১৫

ইংল্যান্ডের টানা নবম জয় ইউরো বাছাইয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ড। শুক্রবার এস্তোনিয়ার বিপক্ষেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তারা। ওয়েম্বলিতে এদিন থিও ওয়ালকট আর রাহিম স্টার্লিংয়ের সৌজন্যে ২-০ গোলে এস্তোনিয়াকে পরাজিত করে। সেইসঙ্গে ইউরো ২০১৬ বাছাইপর্বে নিজেদের আরও এগিয়ে নিয়ে গেল ইংল্যান্ড। এই নিয়ে বাছাইপর্বের নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লো রয় হডসনের শিষ্যরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের বাছাইপর্বে শতভাগ জয় দিয়ে এবার প্রথম দল হিসেবে আগেই ফ্রান্সের চূড়ান্ত পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছিল ইংলিশরা। যে কারণে শেষ দু’টি ম্যাচ শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছিল। এছাড়া দলের অধিনায়ক এবং রেকর্ড সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েন রুনি ইনজুরিতে থাকায় আক্রমণভাগে দায়িত্ব পড়ে হ্যারি কেনের ওপর। কিন্তু দলকে এগিয়ে দেয়ার ভূমিকা পালন করেন ওয়ালকট। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে বার্কলির বাড়ানো বলে এস্তোনিয়ার গোলরক্ষক আকসালুকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান ওয়ালকট। সাবেক সাউদাম্পটনের এই খেলোয়াড়ের এটি ৪২ ম্যাচে অষ্টম গোল। ক্লাব ও দেশের হয়ে সর্বশেষ নয় ম্যাচে এটি তার সপ্তম গোল। ওয়ালকটের গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৫ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ভার্দির ক্রসে স্টার্লিংয়ের গোলে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ৯ ম্যাচ শেষে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। তাদের সংগ্রহে সর্বোচ্চ ২৭ পয়েন্ট। সোমবার লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে রয় হডসনের দল। আর সেই ম্যাচেও জয়ী হয় ইংল্যান্ড। তাহলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ষষ্ঠ দল হিসেবে বাছাইপর্বের সবকটি ম্যাচ জিতে মূল পর্বে প্রবেশের কৃতিত্ব দেখাবে ইংলিশরা। তুলনামূলকভাবে খর্ব শক্তির দল এস্তোনিয়ার বিপক্ষে হডসনের হাত ধরে অভিষেক হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারের ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ডিলে আলির। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ডের কোচ। টানা নয় ম্যাচের সবকটিতেই জয়ের তৃপ্তি সেই উচ্ছ্বাসে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা। তবে তার মতে আরও গোল করতে পারতো ইংল্যান্ড। যদিওবা সর্বোপরি শিষ্যদের পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট রয় হডসন। এ বিষয়ে তার অভিমত, ‘আমরা জিতেছি, এটাই ম্যাচের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। জানতাম পুরো ৯০ মিনিট আমাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। কিন্তু আরও গোল করতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। শেষের দিকে বল পজিশনে আমরা বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু নয় ম্যাচে নয়টিতেই জয়, এটাই দিন শেষে আমাদের মূল প্রাপ্তি।’ ‘ই’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের সাথে ফ্রান্সে যাওয়ার টিকেট নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড। শুক্রবার তারাও খেলতে নেমেছিল। ঘরের মাঠ সেন্ট গ্যালেনে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সান ম্যারিনো। আর সেই সুযোগটাও দারুণ কাজে লাগিয়েছে সুইসরা। এদিন তারা ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েই বাছাইপর্বের বাধা পেরোয় সুইজারল্যান্ড। অস্ট্রিয়ার সাথে ২০০৮ সালের যৌথ আয়োজক সুইজারল্যান্ড ২০১২ সালে খেলতে পারেনি। এবার তাই শুরু থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তারা। খেলেছেও দুর্দান্ত। সান মারিনোর বিপক্ষে সাতজন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় গোল করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। ম্যাচ শুরুর ১৭ মিনিটে ডিফেন্ডার মাইকেল ল্যাংয়ের গোলে উল্লাসের শুরু। প্রথমার্ধে ঐ এক গোলেই এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। এরপর গোখান ইনলার, আদমির মেহমেদি, ইয়োহান জরুরু, পাতিম কাসামি, ব্রিল এমবোলো ও এ্যারিন ডারডিওয়েকের গোলে বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সুইসরা।
×