ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও ॥ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ১১ অক্টোবর ২০১৫

গাইবান্ধায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও ॥ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলায় সোনাইল ও ওয়াপদা বাঁধ ভাঙ্গার কারণে তাদের শাস্তি বাঁধ ও নদী সংস্কার, নদী ভাঙ্গন বন্ধ করা, কৃষক শ্রমজীবিদের ক্ষতি পূরণের দাবিতে রোববার স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ঘেরাও করে এবং জেলা প্রসাশক, পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী, গাইবান্ধা মাধ্যমে এবং পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ঘেরাও করার সময় পুলিশ মিছিলটিকে বাধা দেয়। পরে সেখানেই সমাবেশের কর্মসূচী পালন করে মিছিলকারিরা। উক্ত ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মমতাজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রেবতী বর্মন, মোসাদ্দেক আহমদ বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, বীরেন সরকার, এমএ মতিন মোল্ল¬া, দেলোয়ার হোসেন, গোদারহাটের কৃষক শাহ্ আলম, সাংবাদিক শাজাহান সিরাজ, আব্দুল আজিজ, রবিজল হক, তোজাম্মেল হক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা সদরের গোদারহাট নামক স্থানে ইদুর, শেয়ালের গর্ত দিয়ে পানি বুদবুদ করে বের হতে থাকায় বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কার কথা তিন দিন পূর্বে জনসাধারণ পাউবোকে জানালেও তারা পরিদর্শন এবং কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। খরা মৌসুমে বালু ব্যবসায়ীরা বাঁধ কেটে বালু উত্তোলন করে। কিন্তু সেই কাটা বাঁধ মেরামত করা হয় নাই। এবার জনসাধারণকে সতর্কিকরণ মাইকিংও করা হয় নাই। ফলে গোদারহাট নামক স্থানে সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে খোলাহাটী, গিদারি, বোয়ালী, কঞ্চিপাড়া, উদাখালি, উড়িয়া, গজাড়িয়া ৭টি ইউনিয়নের রোপা আমন, মাছ চাষসহ সিমাহীন ক্ষতি হয়। এমনিভাবে বাঁধের যথাসময়ে সংস্কারের অভাবে সাদুল্যাপুর উপজেলার পুরান লক্ষ্মীপুর এলাকায় ওয়াপদা বাঁধ ভেঙ্গে বনগ্রাম, জামালপুর, দামোদরপুর, রসুলপুর, কুপতলা, কামারপাড়া, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের রোপা আমন, মাছ চাষসহ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়।
×