ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেদের নির্দোষ দাবি চিটাগং সিমেন্টের আসামিদের

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১২ অক্টোবর ২০১৫

নিজেদের নির্দোষ দাবি চিটাগং সিমেন্টের আসামিদের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চিটাগং সিমেন্ট শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় জবানবন্দীতে আসামিরা আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। রবিবার পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার আসামি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এবং চিটাগং সিমেন্টের সাবেক পরিচালক ও বুলবুল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদুল হক বুলবুল লিখিত জবানবন্দী দেন। এ মামলার অপর আসামি টি কে ওয়েল রিফাইনারি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তৈয়ব অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত জবানবন্দী দেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় আসামি শহিদুল হক বুলবুলের পক্ষে ডিএসই’র দুই সাবেক কর্মকর্তাকে সাফাই সাক্ষী দেয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী মহসিন রশিদ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী ১৪ অক্টোবর সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। সাক্ষী দুইজন হলেন- ডিএসই’র সাবেক কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ মাহমুদুল্লাহ এবং সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর সরকার আলী আসগর। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাফাই সাক্ষীদের জেরা করবেন। লিখিত জবানবন্দীতে রকিবুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, এ মামলায় আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি বিএসইসি অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী কোন অপরাধ করিনি এবং ১৭ ধারায় যে সকল অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় তার কোনটি আমার দ্বারা সংঘটিত হয়নি। লিখিত জবানবন্দীতে তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার দুই পোর্টফোলিওতে চিটাগং সিমেন্টের (বর্তমান হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) যে শেয়ার ছিল তদন্ত চলাকালীনও পোর্টফোলিও থেকে কোন শেয়ার বিক্রি হয়নি এবং কেনাও হয়নি। বরং সে সময় কোম্পানি ২:১ অনুপাতে বোনাস এবং ২:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করাতে আমার পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। মামলার চার্জশীট থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে রকিবুর রহমানসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ারমূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
×